দেশজুড়ে

নড়াইলের লোহাগড়ায় ৪মাসে ৫ খুন, নিরাপত্তাহীনতায় জনজীবন

  প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:১৮:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মো: জিয়াউর রহমান জামী, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইলের লোহাগড়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ৩ গ্রামে পাঁচজন খুন হয়েছে। হাত পা কাটা পড়ে পঙ্গু হয়েছে অনেকে। গত ১১ সেপ্টেম্বর দিঘলিয়া চৌরাস্তার পশ্চিমপাশে বেড়ির উপর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী বহিনী দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে ১৪ ই জুলাই মঙ্গলহাটা গ্রামে পারিবারিক বিষয়ের জের ধরে হাতুড়ির আঘাতে খুন হয় আসমা বেগম (চম্পা) । এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, খুন হওয়ার আগে খুনির নামে লোহাগড়া থানায় অভিযোগ করেছিলেন আসমা কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি তার।

 

গত ১০জুন গোন্ডব গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিরাজ মোল্যার দল ও বিপ্লবের দলের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পুলিশের উপস্থিতে মিরাজ মোল্যার দলের খুন হয় তিনজন। এলাকা সুত্রে জানাযায় মিরাজ মোল্যার দল ও বিপ্লবের দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিলো। পথে ঘাটে প্রায় মারামারি সংঘাত হতো ।

কিছুদিন আগে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান, ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গোন্ডবের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কোন ফল হয় নি। ওই বিরোধের জের ধরেই এই গোন্ডব গ্রামে একই দিনে চাচা ভাতিজাসহ দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে একই দলে খুন হয় তিন জন। চাচা মোক্তার মোল্যা, ভাতিজা হাবিল মোল্যা ও রফিকুল ইসলাম।

 

এদিকে খলিশাখালি গ্রামের জলিল নামের এক জনের হাত পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা । লুটিয়া একজনের হাত পা কেটে দেওয়া হয়েছে। লোহাগড়াবাসী পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এলাকার নিরীহ জনগন আতংকে আছে। তবে লোহাগড়ায় এই মুহুর্তে প্রশাসনিক জোরালো পদক্ষেপ না নিলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন এলাকার সুধীজনেরা।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ইন্সপেক্টার (তদন্ত) ফোন রিসিভ করে বলেন, “ওসি স্যার অসুস্থ তাই এ ব্যাপারে আমি কি বলব এটা ওসি স্যার ভাল বলতে পারতেন” ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by