বরিশাল

পাথরঘাটায় মুরগি সংকট, দাম বৃদ্ধিতে ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে মধ্যবিত্তরা

  প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২২ , ৫:৫৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি:

মুরগি ও ফিড খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা ছাড়ছে বরগুনার পাথরঘাটার খামারিরা। এতে সব ধরনের মুরগির সংকট দেখা দিয়েছে পাথরঘাটায়। এ জন্য মঠবাড়িয়া, বামনা, খুলনা সহ আসপাশের এলাকা থেকে মুরগি সরবরাহ করে বিক্রি করতে হচ্ছে পাথরঘাটার ব্যবসায়ীদের। এ জন্য কেজিতে ৫০ টাকা থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষদের হিমসিম খেতে হচ্ছে মুরগি কিনতে এসে।

পাথরঘাটা বাজারের মুরগি বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানা যায়, রোজার ঈদের পর বিবাহ অনুষ্ঠান বেশি থাকে। তাই মুরগির মাংসের চাহিদা অনেক বেশি। একারণে পাথরঘাটায় মুরগি খামারিদের মুরগি শেষ হয়ে গেছে। অপরদিকে মুরগির বাচ্চা সহ ফিড খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা নতুন মুরগি নিচ্ছে না‌। এ কারণে বাজারে স্থানীয় মুরগির সংকট। তাই পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মুরগি এনে বিক্রি করায় দাম একটু বেশি।

পাথরঘাটা বাজারের হাওলাদার পোল্ট্রি ফিডে স্বত্তাধিকারী মাসুম বিল্লাহ ভোরের দর্পনকে জানান, তার প্রায় বিশ লাখ টাকার দাদন দেয়া রয়েছে খামারিদের। মুরগি বাচ্চা ও ফিড খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তার আট জন খামারি লোকসান দিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছে।

খামারি এমাদুল, সুমন বেপারি, বাবু অনিমেষ, কবির খান, রুমি কমিশনার সহ একাধিক মুরগি খামারি অভিযোগ করে জানান, মুরগি শিল্প ধসের জন্য ধাপে ধাপে খাবারের দাম বস্তা প্রতি আটশো থেকে এক হাজার পর্যন্ত বেড়েছে। যে ফিড খাবার ১৮শ টাকায় কিনতাম তা এখন ২৭শো পঞ্চাশ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই খামার বন্ধ করে দিয়েছি।

পাথরঘাটা বাজার মুরগি ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম হোসেন ভোরের দর্পনকে জানান, পাথরঘাটায় প্রতিদিন এক হাজার কেজি ব্রয়লার ও ৪ থেকে ৫শো পিস অন্যান্য মুরগির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু খামারে মুরগি না থাকায় স্থানীয় চাহিদা মেটাতে মঠবাড়িয়া, বামনা, খুলনা সহ আসপাশের এলাকা মুরগি সরবরাহ করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে যাতায়াত খরচের পাশাপাশি বেশি দামে দিয়েও কিনতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশী মুরগী ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৩৫০ টাকা বিক্রি হতো। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে ২০০/২২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অপরদিকে সোনালী মুরগি ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে।

মুরগি কিনতে এসে আব্দুস সোবহান, শাকিল ও হারুন জানান, আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণ করতে কম দামে মুরগির মাংস খেতাম। কিন্তু দিন দিন এভাবে দাম বাড়তে থাকলে মাংস না খেয়েই থাকতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content