চট্টগ্রাম

ফটিকছড়িতে নজিরবিহীন লোডশেডিং!

  প্রতিনিধি ৫ মে ২০২৪ , ৭:৪৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

ফটিকছড়িতে নজিরবিহীন লোডশেডিং!

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নজির বিহীন লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা দেশের ন্যায় প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ফটিকছড়িতেও। গরমের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিনে যেমন রোদের খরতাপ তেমনি রাতে বইছে গরম হাওয়া। শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। তার মধ্যেই মরার উপর খাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং।

এই লোডশেডিং এর কারণে হিট ষ্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফটিকছড়ি উপজেলা। বেশ কয়েকটি জেলার চেয়ে বড় এটি। ফটিকছড়ি উপজেলার ৭৭৩.৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সর্বমোট জনসংখ্যা রয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৩ জন । এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাও মিলছে না বিদ্যুৎ। ফটিকছড়ি সদরের সাথে গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টন বৈষম্য দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।

অতিরিক্ত গরমের কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। এক্ষেত্রে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিদ্যুৎ চাহিদা ২৫-২৮ মেগাওয়াট, চাহিদার বিপরীতে বিদুৎ সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হচ্ছে ৮-১০ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদার ঘাটতি রয়েছে। তাই ফটিকছড়ি অনেক বড় এলাকায় সমানভাবে বিদ্যুৎ বণ্টন করা সম্ভব না। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

ফটিকছড়ি সদরের শাহাদাত হোসেন বলেন গত কয়েকদিন ফটিকছড়িতে নজির বিহীন লোডশেডিং হচ্ছে, এতে বৃদ্ধ ও শিশুদের সবচাইতে বেশী সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীরা ঠিক মত সেবা পাচ্ছে না। শিক্ষার্থী এমরান, সোমাইয়া, আনোয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এভাবে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঠিকমতো পাঠ কারিকুলাম করা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গ্রাম অঞ্চলের অবস্থা আরো করুন এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩/৪ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না।

বিদ্যুতের কারণে সেচ পাম্প ঠেক মত চালানো যাচ্ছে না। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, খাদ্যের সরবরাহ ঠিক থাকছে না। এত সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য দাবি জানান এলাকাবাসী। লোডশেডিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২এর ব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ সারওয়ার জাহান জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পিডিবি, পবিস-২ কে জাতীয় গ্রিড থেকে যতটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয় সেটা আনুপাতিক হারে বণ্টন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

ফটিকছড়ি বিশাল এলাকা, চাহিদা মত সরবরাহ না পেলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। ব্যাংক, অফিস. মার্কেট, শপিং মহর, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে দিন-রাত সমান ভাবে। চাহিদা চেয়ে উৎপাদন কম। দিনের আলো ব্যবহার করে, বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার আহ্বান। খুব দ্রুত সময়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং সমাধান করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by