ঢাকা

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে আর্জেন্টিানার প্রাণী “পাটাগোনিয়ান মারা”

  প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২১ , ৬:০০:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

এমদাদুল হক, শ্রীপুর(গাজীপুর):

পাটাগোনিয়ান মারা আর্জেন্টিানার প্রাণী। বৈশ্বিক তালিকায় এরা মহাবিপন্ন। বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় গত ৩মার্চ সাতক্ষীরার কলারোয়ার তুষখালী সীমান্ত থেকে বিজিবি উদ্ধার করে ৭টি পাটাগোনিয়ান মারা। হরিণের মতো চোখ, খরগোশের মতো কান। মাঝারী গড়নের এ প্রাণীটি আসলে কি তা নিয়েই সন্দিহান ছিলেন স্বয়ং বিজিবির কর্মকর্তারাই। অনেকেই ভেবেছিলেন তা বন্য খোরগোশ। সাড়ে পাঁচমাস প্রাণীগুলো ছিল বিজিবির তত্বাবধানেই। গত ২২আগষ্ট তারা এ প্রাণীগুলো হস্তান্তর করেন বনবিভাগের কাছে। তখনই জানা যায় এ প্রাণীগুলো আসলে পাটাগোনিয়ান মারা।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, বিজিবি ৭টি পাটাগোনিয়ান মারা আটক করলেও তাদের কাছে থাকার পর মারা যায় একটি প্রাণী। পরে ৬টি প্রাণী তারা বুঝে পান। এসময় এ প্রাণীগুলোকে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হলে গত ৩১আগষ্ট সেখান থেকে একটি নতুন অতিথির জন্ম হয়। পরে একে একে পাঁচটি প্রাণীই মারা যায়। অবশিষ্ট দুটি প্রাণীকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়।

শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মোহাম্মদ জুলকারনাইন প্রথমে দেশে এ প্রাণীটি শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় পাটাগোনিয়ান মারা স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা তৃণভোজী। এদের সামনের পায়ের তুলনায় পেছনের পা দুটো বেশ দীর্ঘ। গায়ের রঙ সাধারণত বাদামী তবে মাঝে মধ্যে কালোর মিশেলেও দেখা যায়। এরা হাঁটাহাঁটি করে চলাচল করলেও সুযোগ পেলে খরগোশ বা ক্যাঙারুর মতো লাফালাফি করে। বছরে এক থেকে দুইবার বাচ্চা প্রবস করে এ প্রাণী। আকারের দিক দিয়ে সাধারনত ২৭ইঞ্চি দীর্ঘ হয়। ওজনে ৮থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত হয়। আয়ু ১৪বছর পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রাণীগুলো উদ্ধারের পর বেশ ধকল গেছে তাদের মধ্যে। এর জন্যই মূলত ৬টি প্রাণী মারা গেছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে আমাদের পরিবেশেও টিকে থাকতে পারার সম্ভাবনা রয়েরছ। তবে আমাদের উচিৎ ছিল যেখানকার প্রকৃতির এ প্রাণী সেখানে তাদের ছেড়ে দেয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে দুটি পাটাগোনিয়ান মারা সাফারী পার্কে দেয়া হয়। পরে তাদের বসবাসের উপযোগী বেস্টনী তৈরী করে সেখানে তাদের রাখা হয়েছে। এদের লিঙ্গ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে প্রাণীগুলো সুস্থ রয়েছে স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by