প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৪:৫৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
“আমি আজও আমার বোনের হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। পাঁচ বছর ধরে ঘুরছি, কিন্তু মৃত্যুর রিপোর্টও হাতে পাইনি। আমি সন্ত্রাসী নাসীরের ফাঁসি চাই!” একরাশ ক্ষোভ আর কান্না মিশিয়ে কথাগুলো বলছিলেন আফরোজা বেগম, যার বোনকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয় বলে তার অভিযোগ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাটের মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দেগরাজ বাজারে আওয়ামী নাসীর হাওলাদারের
ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বস্তরের জনগণ। মানববন্ধনে সবাই হাতে প্লাকাট নিয়ে নাসির ফাঁসির দামির স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মরজিনা আরজ (৫৫) বলেন, “২০০১ সালে আমার ছোট বোনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দিয়েছিলাম নাসীরের সঙ্গে। তখন সে শান্ত স্বভাবের ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে নানা অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। আমার বোন প্রতিবাদ করেছিল, আর তাই তাকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয়!হত্যার কারণ জানতে থানা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন দপ্তর দপ্তরে বিগত পাঁচ বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখনো পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানতে পারিনি।
স্থানীয়দের দাবি, নাসীর শুধু একজন মাদক ব্যবসায়ীই নন, সে একাধিক খুনের সাথে জড়িত। মানববন্ধনে একাধিক ভুক্তভোগী চোখের জল ফেলে বলেন, “আমাদের প্রিয়জনদের খুন করা হয়েছে, আমরা নাসীরের ফাঁসি চাই! ‘আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “নাসীর একজন মাদক ব্যবসায়ী, খুনি, লুটেরা ও চোরাচালানকারী ভূমিধসু সহ বিভিন্ন খারাপ কাদের সাথে লিপ্ত ছিল নসির । তার অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। আমরা আমরা এলাকা বাসি চাই তার ফাঁসি হোক।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ আলী বলেন, চার তারিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগের দোসর এই নাসির নিজের অস্ত্র নিয়ে গুলি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে। আমরা এখন তার ফাঁসি চাই।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রেখে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হতে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ গত ১০ তারিখে অপারেশন ডেভিল হান্ট মোং লা উপজেলার আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ নাসির হাওলাদার কে খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে
আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়