প্রতিনিধি ১৩ জুন ২০২৪ , ৭:৪৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সকাল থেকেই তপ্ত রোদ আর মেঘলা রোদের মিশেলে দিনের শুরু। মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা,যা অনেকের কাছেই কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে জেলায় পৌরসভার অনুমোদিত ৭ টি পশুর হাট,হাটে ব্যস্ত সময় পার করছে বিক্রেতা এবং ক্রেতা।
সকাল ৮ টা থেকেই জেলা সদরের বিভিন্ন জায়গা হতে পৌর এলাকার বালাঘাটা বিলকিস বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বালাঘাটা মসজিদ সহ ১৪ টি মসজিদ কমিটির সমন্বয়ে করা গরু ছাগলের হাটে গরু ও ছাগল নিয়ে দূরদূরান্ত হতে বিক্রেতারা আসতে শুরু করেছে।
হাটে গরু নিয়ে আশা মো. আবু তাহের জানান হাটে মিয়ানমারের কোন গরু না আশায় গরুর বাজারে বেশির ভাগ দেশীয় গরু,বর্তমানে বেচাকেনা কিছুটা কম হলেও আশা করছি হাটে আনা গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাবে, ক্রেতাদের সাথে ২০-২৫ হাজার টাকার বিক্রি পার্থক্য থাকায় এখনো বিক্রি করতে পারিনি।
জানালেন পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে লালনপালনেও খরচ একটু বেশি হয়েছে।আরেক বিক্রেতা মো. আবু তৌয়ব জানান বাজারে আমার আনা গরু সবচেয়ে বড়, দাম ৩ লাখ পঞ্চাশ চেয়েছি ১০-২০ হাজার কম পেলেও ছেড়ে দিবো। তিনি বলেন বাজারে বার্মিজ কোন গরু না আশায় আমরা আশা করছি গরুর দাম ভালো পাবো।
এদিকে হাটে গরু কিনতে আশা এক ক্রেতা জানালেন গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি, ১ লাখ টাকার নিচে কোন গরু হাটে নেই। গতবছর যে গরু ১ লাখ ২০ হাজারে পাওয়া যেতো সেটা এ বছর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে না। এদিকে সবগুলো হাটেই পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশী বালাঘাটা সম্মিলিত মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে বিলকিস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের হাটের ইজারার দায়িত্বে থাকা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী জানান এ বছরে গরুর হাটের শুরু হতে আজকে সকাল পর্যন্ত এই বাজারে কোটি টাকার পশু কেনা-বেচা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে আজকের শেষ বাজার পর্যন্ত ১২-১৩ কোটি টাকার ব্যাবসা হবে।তিনি জানান এই হাটে ক্রেতারা পছন্দ মতো পশু কিনতে পারছে। বাজারে প্রচুর গরু রয়েছে দেখে শুনে নিতে পারবে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর গরু ও ছাগল নিয়ে এসেছে পাহাড়ীরা।
অনেক গরু বিক্রেতাই হাটের বড় গরুর দাম হাঁকছেন বেশি তবে শেষ দিকে তা কমবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে পুলিশ সদস্য বৃন্দ। এদিকে পশুর হাটে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য জাল নোট শনাক্ত করণের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের উদ্যোগে সহযোগিতা বুত স্থাপন করা হয়েছে এতে গরু ক্রেতারা নিজেদের বিক্রয়কৃত গরু বা ছাগল বিক্রির পর টাকার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিতে পারবেন।এছাড়া গবাদিপশুর একজন চিকিৎসক ও হাটে অবস্থান করছেন।