রংপুর

ফুলবাড়ীতে বিষ প্রয়োগে ৬ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ

  মোঃ হারুন-উর-রশীদ ৪ মে ২০২৪ , ৪:০১:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ফুলবাড়ীতে বিষ প্রয়োগে ৬ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক সোহানুর রহমান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হর গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মো. সোহানুর রহমান সোহানের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দুই একর একাশি শতক জমিতে আধিয়ারসহ বোরো (৯০ জিরা) ধান রোপণ করেন।

রোপনকৃত ধান প্রায় কাটার সময় তার সৎ ভাই নাহিদ জামান লিমন ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে কীটনাশক বিষ স্প্রে করে সম্পূর্ণ ধান মেরে ফেলেছে এতে তার ও তার আধিয়ারের প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগকারী কৃষক সোহানুর রহমান জানান, গত ২৪ এপ্রিল বিবাদীরা রাতের অন্ধকারে আমার ২ একর ৮১ শতাংশ জমিতে লাগানো (৯০ জিরা) ধান কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে।

ইতঃপূর্বের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিষ প্রয়োগ করে আমার বীজতলা নষ্ট করেছিল। জমির ধান গুলো কয়েকদিন গেলেই কেটে ঘরে তুলতাম। কিন্তু বিষ প্রয়োগে ধানগুলো নষ্ট করার কারণে আমার প্রায় চার লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি আরও বলেন, জাল দলিল তৈরি করে আমার সৎ ভাই আমার ভাগের জমি নিজের বলে দাবি করেন। সেই জাল দলিল বাতিলের মামলা করলে আদালত কর্তৃক জাল দলিল প্রমাণিত হয়। এরপর থেকে সে তার মামাদের সাথে নিয়ে আমার ক্ষতি করে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার কথা থাকলেও সমাধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায় করতে কিছু দিন দেরি হয়। ৪ মে ২০২৪ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহানুর রহমানের দুই একর একাশি শতক জমির সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ধান কেটে ঘরে তুললে শ্রমিক মজুর উঠানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে একই এলাকার কৃষক শাহীনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শত্রুতা বসত বীজতলা নষ্ট করা, ৬ বিঘা জমির ধান নষ্ট করা কোনোটাই উচিত নয়। আমরা চাই উভয়ের মাঝে একটা সমঝোতা আসুক যাতে আমাদের এলাকার ভাবমূর্তি ঠিক থাকে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কৃষি অফিসার ও ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by