প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২২ , ৬:১৩:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যেই উপ-নির্বাচন দেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি এখনো গেজেট পাইনি মিডিয়ায় দেখেছি, উনারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট হয়নি। যদি সত্যিকার অর্থেই উনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সঠিক মনে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নেব। ৩৯টি দল আছে। সবাই যদি বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আরা একটা দুইটা যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক যেটা হয়, সেটাই তো করতে হবে।
বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টা হলো যে রাজনেতিক দলগুলোর নানা চাহিদা থাকতে পারে। কোনটা পালন করবেন? এখন সব দল যদি চায় তাহলে তো আমর। কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কিনা সেটা দেখেন। ইকুয়েল আচরণ করছি কিনা সেটা দেখেন। একটা দল আরেকটা দলের কাছে চাওয়া প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করা হয়, সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের তো উদ্যোগ সব সময় থাকবে। যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করব।
তিনি বলেন, নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা যে কোনো সময় উনাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই চাইতে পারি। উনারাও চাইতে পারে। আমাদের যখন যে দায়িত্ব পালন করার উচিত তখন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করব। রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনীতিবিদরা দেখবেন সরকার দেখবেন। আমাদের কাজের লিমিট দেওয়া আছে। এটা দল ও সরকারের উপর নির্ভর করে।
প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির ৭ এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।