প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৬:৩৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির লংগদুতে মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বিষাদের ছায়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উপলক্ষ মন খারাপের। ঢাক-কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি, পূজারি-ভক্তদের পূজা অর্চনায় মধ্যদিয়ে মা দেবী দুর্গার বিদায়ের আয়োজন।
ররিবার (১৩ অক্টোবর) শুভ বিজয়া দশমী। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন মা দেবী দূর্গা। অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিসর্জন দেবেন প্রতিমা। ভাঙবে মিলনমেলা।
উৎসবের চতুর্থ দিনে গতকাল শনিবার একসাথে মহানবমী ও দশমীবিহিত পূজা হয়। এদিন সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা হয়। পূজা শেষে যথারীতি পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি হয়। আর সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে দশমীবিহিত পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়।
দিনটির প্রধান আকর্ষণ ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যা ও রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে ওঠেন নানা ঢঙে আরতি নিবেদনে। সেই সঙ্গে ছিল দিনভর পুরোহিতদের চণ্ডীপাঠ। মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের কীর্তন বন্দনা। এ উপলক্ষে সিলেটের বিভিন্ন মন্দিরে ও পূজামণ্ডপে সন্ধ্যায় হয় আরতি প্রতিযোগিতা।
আজ রাঙ্গামাটির লংগদুতে তিনটি পূজা মণ্ডপের নিকটবর্ত্তী কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে বেলা ২টায় মন্দিরের সামনে এক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মাইনীমুখ বাজার হরি মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাগর দে জানান,
বিকাল তিনটায় উপজেলার তিনটি পূজা মণ্ডপের সমন্বয়ে কাপ্তাই লেকের ভাইবোনছড়া ও বগাচতর ঘুরে বিকাল পাঁচটায় বিসর্জন শেষ করা হবে।
এদিকে, বিজয়া দশমী উদযাপন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ।