প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ , ৫:৩৫:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল লংগদু উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ ইউনুছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, মামলা-হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ২৯ জানুয়রি রাঙ্গামাটি সদরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে, বাইট্টাপাড়া এলাকার মর্জিনা বেগম।
৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে লংগদু উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সৈয়দ ইউনুছ ও তার পরিবার।
সৈয়দ ইউনুছ তার বক্তব্যে বলেন, বাইট্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা, আওয়ামী লীগের দোসর, লংগদু উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুর রহমান এবং তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমার নামে ভূমি দখল, নির্যাতনসহ দলীয় প্রভাব বিস্তারের যে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা মাত্র। এছাড়াও তার মিথ্যা প্রচারের কারনে সামাজিক ভাবে আমার মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গার উপর তারা সুট কবুলিয়ত করে আমার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে। যার ৪টি মামলার রায আসে আমার পক্ষে। তারা কোটে বারবার জাল-জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের দেওয়া কাগজ-পত্র জেলা, উপজেলা ভূমি অফিসের কোথাও পাওয়া যায়নি।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, মর্জিনা তার বক্তব্যে ২৪ জুন ২০২২ সালে আমার সাথে তার একটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন, যাহা তার মিথ্যে কথার ফুলঝুরী মাত্র। কারণ সে মামলায় আমি আসামি নই। সেই মামলায় আসামি ছিল তারই চাচাত ভাই ও ভাবি । এটি তাদের পারিবারিক মামলা ছিল।
মর্জিনা আরো বলেন, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে আমি তাদের স্ব-পরিবারকে মেরে রক্তাক্ত করেছি। এখানে আমর প্রশ্ন হলো, তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমি যুবদলের সদস্য সচিব হয়ে এধরনের কার্য-কলাপ পরিচালনা করার সুযোগ আমার ছিলো কিনা? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রইলো । এটিও একটি সাজোনা মিথ্যে কথা ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, এডিএম কোর্টে একটি নিষেধজ্ঞা মামলা ছিল, সে সময় মর্জিনারা কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে না পারায় মামলার রায় আমার পক্ষে আসে।
বক্তব্যের তিনি আরোও বলেন, তার বোন রেহেনাকে আমি জোরপূর্বক কিটনাশক খাইয়েছি। যেহেতু মামলাটি তার মায়ের সাথে, সেহেতু তাকে কিটনাশক খাওয়াইয়া আমার লাভ কি? এই প্রশ্নটুকুও আপনাদের কাছে রইলো। তারা দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত উক্ত জমিতে বসবাস করেন উল্লেখ করেছেন, কিন্ত আপনারা যেনে দেখবেন ওনার বয়স তো দূরের কথা ওনার মায়ের বয়সও ৫০ বছর হয়েছে কিনা?
তিনি বলেন, আমি কালাচাঁন থেকে ৩.০০ (তিন একর) জমি ক্রয় করি। কিন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যেখানে ওনার মা জাল-জালিয়াতি করে আওমীলীগ দোসরদের প্রভাব দেখিয়ে তার মেয়ের জামাই উপজেলা যুবলীগের সদস্য আঃ রহমানের প্রভাবে আমার রেকর্ডকৃত জমি দখল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলা করে আমাকে হয়রানি করেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এটি সত্যি হলেও, দুঃখের বিষয় গত জাতীয় নির্বাচনের আগে আমি যেন এলাকায় থাকতে না পারি, আওয়ামী লীগের দোসররা সকলে মিলে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা করেন। সেদিন আমি মামলার হাজিরা দিতে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম, এসে দেখি আমার নামে আরোও একটি মারামারির মামলা হয়েছে। যেখানে আমি রাঙ্গামাটিতে ছিলাম সেখানে লংগদুতে আমি মারামারি করলাম কিভাবে? তাও আবার আমাকে এক নাম্বার আসামি করা হয়েছে। কারণ, আমি যুবদলের সদস্য সচিব সে জন্য।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, আমার রেকর্ডকৃত জমিতে আমি আছি, আমি ওনার জমিতে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। বরং তারা আমার জমি দখল করে আছে। যার প্রমান সরুপ লিগ্যালইড স্যার সরজমিনে এসে তদন্তকালীন সময়ে তাদের কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারাঢ আমার পক্ষে রায় আসে ।
আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সমাজে আমার ও আমার দলের যে ভাবমূর্তি যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমি তাদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি ।
সর্বশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ ইউনুছ তার জায়গার কাগজ দেখান এবং মর্জিনাদের কাগজ জেলা উপজেলার ভূমি অফিসের কোথাও পাওয়া যায়নি সে প্রত্যায়নও দেখান তিনি।