ঢাকা

মির্জাপুরে ছেলের দা এর কোপে মা,বাবা সহ ৭ জন আহত, এক প্রতিবেশীর মৃত্যু

  মো. আবুসালেহ (সজীব) মির্জাপুর, টাঙ্গাইল ৬ মার্চ ২০২৫ , ৪:০৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মির্জাপুরে ছেলের দা এর কোপে মা,বাবা সহ ৭ জন আহত, এক প্রতিবেশীর মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আনন্দ সরকার নামের এক যুবক তাঁর মা-বাবা ও প্রতিবেশীসহ সাতজনকে কুপিয়ে জখম করেছেন। তাঁদের মধ্যে রাজেশ্বরী সরকার মিতু (৩৬) নামের এক প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘাতক যুবক আনন্দ সরকারকে পুলিশ আটক করেছে। ইচাইল গ্রামের নিমাই সরকারের ছেলে আনন্দ সরকার পেশায় মোটরসাইকেল গ্যারেজের মিস্ত্রি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুরে আনন্দ সরকার হঠাৎ দা নিয়ে তাঁর মা মিষ্টরানী সরকারকে কোপাতে যান। এ সময় তাঁর বাবা নিমাই সরকারসহ প্রতিবেশী দীপা সরকার (২৫), সুমা সরকার (২৭), দুলাল সরকার (৪৫) ও দিগেন সরকার (৪০) তাঁকে আটকাতে গেলে আনন্দ তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করেন। তাঁর দায়ের কোপে প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী দীপা সরকার ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আহত অন্যদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুলাল সরকার ও দিগেন সরকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

নিহত দীপা সরকার ইচাইল গ্রামের রণজিৎ সরকারের স্ত্রী। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে একটি আট মাসের শিশু।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে আনন্দ সরকারকে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার পুলিশ আনন্দকে আটক করে নিয়ে যায়।

নিহত মিতু সরকারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আনন্দ কী কারণে তাঁদের কুপিয়েছেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইচাইল গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে আনন্দ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক যুবককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর

Sponsered content