দেশজুড়ে

রাজধানীর ৫২ এলাকা লকডাউন

  প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২০ , ১০:১১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর রাজধানী ঢাকার ৫২টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ১০টি এলাকা লকডাউন করা হয়। এসব এলাকার কেউ এখন বাইরে বের হতে পারবেন না, সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না। ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীতে সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকা আগেই লকডাউন করা হয়। এরপর একে একে পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনের ২০০ ভবন, মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানকার একটি রাস্তা লকডাউন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত যেসব এলাকা লকডাউন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, বসুন্ধরা ডি ব্লকের রোড-৫, বুয়েট এলাকার একাংশ, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, মিরপুরের টোলারবাগ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা, কাজীপাড়ার একটি অংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, মিরপুর-১০-এর ৭ নম্বর রোড, পল্টনের কিছু অংশ, আশকোনার কিছু অংশ, নয়াটোলার একাংশ, সেনপাড়ার একটি অংশ, মীর হাজিরবাগের একাংশ, নন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশের এলাকা, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোডের একটি, ধানমন্ডি-৬-এর একটি অংশ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার কিছু এলাকা, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা, ইসলামপুরের একাংশ। এসব এলাকা পুলিশি পাহারায় থাকবে। দিনরাতে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের আগে কেউ বাসার বাইরে থাকলে তিনি ভেতরে যেতে পারবেন। কিন্তু কেউ বের হতে পারবেন না। কেউ বের হতে চাইলে তাঁকে অনুমতি নিয়ে বের হতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রোগী শনাক্ত হলেই পুরো এলাকা লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র: প্রথম আলো

আরও খবর

Sponsered content

Powered by