প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ৪:৩৮:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক প্রবাসীর পরিবারকে মারধর করে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের চর আবাবিল গ্রামের আব্দুল আহাদ মাওলানা বাড়িতে। ওই বাড়ির সাহেদ আহম্মেদ সমীর (৩৮), হারুনুর রশিদ (৪৫) ও বজলুর রশিদ (৪২) গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কহিনুর বেগম (৫২) ও তাঁর কন্যা ফারহানা আক্তার (২০)। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তাঁরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি কহিনুর বেগম তাঁর প্রবাসী ছেলে নাজমুল আহসান মিঠুর ইজারা নেওয়া পুকুর থেকে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা বাধা দেয়। এ নিয়ে সাহেদ আহম্মেদ সমীরের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০), হারুনুর রশিদের স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫), মো. সালাউদ্দিনের স্ত্রী শাহানা আক্তারের (৩৩) সাথে কোহিনুর বেগমের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই খবর পেয়ে সমীর, হারুন, বজলুসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে। ওইসময় আহত হন কহিনুর বেগম (৫২), তাঁর কন্যা নওরীন আহম্মেদ (২৫), ফারহানা আক্তারসহ সহ কয়েকজন। সর্বশেষ গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) কোহিনুরদের জমি থেকে গাছ কেটে নিয়ে যায় সমীর ও তাঁর লোকজন।
ফারহানা আক্তার (২০) বলেন, ভাই প্রবাসে থাকায় এবং বৃদ্ধ বাবা-মা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে আমার চাচা, চাচী ও ফুফুরা আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতন করেই যাচ্ছে। আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে নিতে নিষেধ করায় তারা আমাদেরকে মারধর করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে আমরা নিজেদের ঘরেও যেতে পারছিনা। থানায় মামলা ও আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা করলেও অভিযুক্তদের দাপটের কাছে আমরা অসহায়। আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খেতে পারি না, ঘুমাতে পারি না। সারাণ আতঙ্কে থাকি। নিজের বাড়িতে যেতে হয় গোপনে। তারা আমাদেরকে যেকোনো মুহূর্তে মেরে ফেলতে পারে। এই ভয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে রাতযাপন করি।
অভিযোগের বিষয়ে সাহেদ আহম্মেদ সমীর বলেন, আমার বাবা জীবিত থাকতে তাঁকে ভুল বুঝিয়ে ভাই-ভাবী বেশি জায়গা রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। এ নিয়ে মামলা চলছে। তাদেরকে কোনো ভয় দেখানো হচ্ছে না। তারা আমাদেরকে মারধর করে আহত করেছে। ভয় দেখিয়ে ঘরছাড়া থাকার বিষয়টিও সঠিক নয়।
রায়পুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আহসান মোরশেদ বলেন, তর্কিত জমিতে আদালতের স্থিতিবস্থার বিষয়টি লিখিতভাবে সমীর গংদেরকে জানানো হয়েছে। গাছ কাটার ঘটনাটি জেনেছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরণের ঘটনা কেউ আমাদেরকে অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।