প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৪ , ৮:২৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় রাসেলস ভাইপারকে লাথি দিতে গিয়ে ইব্রাহিম (৪০) নামের এক যুবক সাপটির কামড়ে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যোতি মণ্ডল।
ইব্রাহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মো. মুখলেসের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক।
ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কাজের উদ্দেশে এসেছিলেন। সোমবার (২৪ জুন) রাতে মালিকের বাসায় খাবার খেয়ে নড়িয়া ব্রিজ এলাকায় নদীর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এ সময় তিনি একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। পরে সাপটিকে লাথি দিতে গেলে সেটি তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। এ সময় তিনি পাশে থাকা একটি ইট দিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন এবং দ্রুত মোটরসাইকেলে করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চলে আসেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে বিষ প্রবেশ করেনি বলে জানায়। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ওই যুবক বলেন, ‘সাপটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা ছিল। আমি তাই পা দিয়ে সাপটিকে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি হঠাৎ করেই আমার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমি গেঞ্জি খুলে বাঁধ দিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে বলেন, আমার শরীরে বিষ প্রবেশ করেনি।’
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যোতি মণ্ডল বলেন, ‘ওনাকে সাপে কাটার আধা ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে চলে আসেন। পরে মোবাইলে ছবি দেখালে বুঝতে পারি সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রক্তে কোনও বিষ পাইনি। তাকে আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’