দেশজুড়ে

লংগদুতে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস পালিত

  প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:১৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

লংগদুতে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস পালিত

পাকুয়াখালীতে ৩৫ কাঠুরিয়া গণহত্যা দিবসের স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ‘পিসিসিপি’ লংগদু উপজেলা শাখার উদ্যােগে শোক র‍্যালী,  কবর জিয়ারত, দোয়া ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৯ সেপ্টম্বর)  সকালে লংগদু উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সুমন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ  মনির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ‘পিসিসিপি’ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, মাইনীমুখ ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ  মাওলানা মোঃ ফেরদৌস আলম, পিসিসিপি সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং তথাকথিত শান্তিবাহিনী কর্তৃক নির্মমগণহত্যায় নিহত পিতৃহারা সন্তান মোঃ রকিব হোসেন, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, লংগদু উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খালিদ রেজা, লংগদু সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মালেকসহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস’র সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্য বার বর্বরোচিত, নাড়কীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডে শিকার হয়েছে পাবর্ত্য অঞ্চলের বাঙালীরা। এসব  ঘটনার মধ্যে আজ ৯ সেপ্টেম্বর পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি নৃশংসতম বর্বরোচিত ৩৫ কাঠুরিয়া

গণহত্যা দিন, পাকুয়াখালী  ট্রাজেডি দিবস

১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তথাকথিত খুনি শান্তিবাহিনীর গড ফাদার  সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস এর সশস্ত্র শাখা কর্তৃক রাঙামাটি জেলার বাঘাইচড়ি উপজেলার পাকুয়াখালীতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালী কাঠুরিয়াদের ওপর নিমর্ম নিযার্তনের পর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি নৃশংসতম ববর্রোচিত গণহত্যার দিন। এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তি বাহিনী নামক পাহাড়ি সশস্ত্র বাহিনী। তাদের ক্ষত-বিক্ষত, বিকৃত লাশের নিমর্ম দৃশ্য দেখে সেদিন শোকে ভারী হয়ে ওঠেছিল পাহাড়ের পরিবেশ। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-চুরি দিয়ে কুপিয়ে এবং বন্দুকের বেনেট ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল সেদিন অসহায় ওই মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সশস্ত্র শান্তিবাহিনী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: হাবীব আজম বলেন, মানবাধিকার এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালী গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার করা  কোনদিনই সফল হবে না। পাহাড়ে শান্তি  প্রতিষ্ঠায় ও সাম্প্রদাযিক সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস  ইউপিডিএফ, কেএনএফ ও কুকিচিং সহ সকর সশস্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে খুনি সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসা সহ তাদের সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সহ পার্বত্যবাসীর হত্যার স্মৃতি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রাখতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content