প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৪ , ৮:১৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার দূর্গম লংগদু ভূমিদস্যু মালেক গং এর আঃ মালেক, লাটমিয়া, জয়নাল আবেদীন, আলী আকবর, সরোয়ার হোসেন, জহির রাইটার, ইকবাল, তৈয়ব আলী, আঃ ছালাম, ছালাম খা, জাকির, হারুন, জিয়া মেম্বারসহ ১৩/১৪ জনের বিরুদ্ধে ভুয়া বন্দোবস্তি ও সুট কবুলিয়তের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে হয়রানি, অন্যের জমি অধিগ্রহণসহ হয়রানি সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারোটায় লংগদু উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলার বাইট্টাপাড়া (তিনটিলা পাড়া) নিবাসী আব্দুল হাই, আব্দুল করিম ও নিরাময় চাকমার নেতৃত্বে আয়োজিত উক্ত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ছত্র ছায়ায়, দীর্ঘদিন যাবত সাধারন মানুষকে জিম্মি রেখেছিলেন ভূমি খেকোরা। কেউই তাদের হাত থেকে রেহায় পাইনি। এমনকি প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। ভুয়া জাল জালিয়াতি স্যুট কবুলিয়ত করে সাধারন মানুষের দখলে থাকা জমি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। তাদে অত্যাচারে ভিটা বাড়ি ছেড়ে অন্যর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকেই। কিছু হলেই মামলা হামলা সহ আরো নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করে তারা। চিত্রটি ফুটেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। তারমধ্যে বেশী সমস্যা দেখা দিয়েছে লংগদু সদরের বাইট্টাপাড়ায়। এছাড়াও উপজেলার মাইনীমুখ, আটারকছড়া, বগাচতর, গুলশাখালী, কালাপাকুজ্জাতেও কম নয়। তবে চক্রটি বেশ সক্রিয় দীর্ঘিদিন যাবত এই মালেক গং উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারদের লেয়াজু করে সাধারন মানুষের জায়গা জমি হাতিয়ে নিয়েছে এখনো নিচ্ছে। কিছুদিন আগেও আমাদের উপজেলার গর্ব,আমাদের অহংকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত একজন অফিসারের বিরুদ্ধে মালেক মামলা করে দেয়। সেখানে সাধারণ মানুষকে কি না করতে পারে তারা এটা চিন্তার বিষয়।
বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকার তরুন আব্দুল করিম জানান, ভূমিদস্যু মালেকের চক্রটি অনেক বড়, তারা বিগত সরকারের সময় যেমনি ভাবে অন্যের ভূমি দখলে ব্যস্ত ছির, সরকার পতনের পরেও তেমনিভাবে এক্টিভ। তারা রাতের আধারে বর্তমান সার্ভেয়ারের অফিসে বসে মিটিং করে কি ভাবে মানুষের জায়গা দখল করা যায়, সে কাজেই ব্যস্ত। এই চক্রটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দালালদের মাধ্যমে স্যুট কবুলত করে, নয় ছয় দেখিয়ে জমি গুলো নিজের নামে করে নিচ্ছে অথবা মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করে। আমার নিজের কাগজের জায়গায় তারা ভুয়া দলিল করে আমাকে ও আমার ভাইদের নামে মামলা করে জেল হাজতে পাঠায়। এই মামলার কারনে আমি ও আমার ভাইদের চাকরী হয়নি। আমি আমরা মালেক এবং তার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
তিনটিলা নিবাসী নিরাময় চাকমা বলেন, এই মালেক গংদের কারণে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। বহুল আগে তার বাবা মারা গেছে, কিন্তু ২০১৪ /২০১৫ সালে তার বাবার নামে সুট কবুলত করেছে। সে কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা। তার এসকল কর্মকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়েই আমরা স্মারক লিপি দিয়েছি। আশা করছি প্রশাসন খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। নতুবা এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। মালেক গংরা আমাদের পাহাড়িদেরও নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত মানববন্ধনের মাধ্যমে আঃ হাই, আঃ করিম ও নিরাময় চাকমার নেতৃত্বে মালেক গংদের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। একই সাথে লংগদু থানা ও লংগদু সেনা জোনে স্মারক লিপির অনুলিপি প্রদান করেন ।