চট্টগ্রাম

সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা

  প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:২৩:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা

নাজিরহাট–কাজিরহাট সড়কের পাশেই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এই ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরহাট পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডে এলাকার (মন্দাকিনী খালের উত্তর পাশে ) নাজিরহাট -কাজিরহাট সড়কের ঘেঁষে ময়লার স্তূপ। আর এর থেকে বের হচ্ছে দূষিত ধোঁয়া। দুর্গন্ধ আবর্জনা পুরো এলাকা ভারি হয়ে উঠেছে। নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন ও শত-শত মানুষ চলাচল করে।

এছাড়াও নাজিরহাট কলেজ, উচ্চবিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কের পাশে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।নাজিরহাটের বাসিন্দা মাসুদ, মোজাম্মেল, ইসমাইলসহ অনেকেই জানান, প্রায় ১১ বছর ধরে নাজিরহাট পৌরসভার সকল ময়লা-আর্বজনাগুলো প্রতিনিয়ত সড়কের পাশে এনে ফেলছেন। ময়লার স্তূপে ধরে দেওয়া হয় আগুন। এই আগুনের দূষিত ধোঁয়া বাতাসের সাথে মিশে আশেপাশে অবস্থিত স্কুল কলেজসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই দূষণের স্বীকার থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসীরা।

এসব বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিবেশবান্ধব কোনো পদ্ধতিও গ্রহণ করছেন না নাজিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। যে কারণে দূষণের স্বীকার হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাসহ চলাচলকারীরা। নাজিরহাট কলেজের প্রভাষক মো: আলমগীর শিক্ষার্থী মো. সাব্বির জানায়, কলেজের উদ্দেশ্যে এ সড়ক প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয় আমার। নাজিরহাট – কাজিরহাট সড়কের মন্দাকিনী খালের উত্তর পাশে আসলে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা নাক চেপে ধরে আসা-যাওয়া করতে হয়।

দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। ওই ময়লা আবর্জনার স্তূপ দেখে পুরো শরীর ভারী হয়ে যায়। অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। নাজিরহাট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন- এ ময়লা থেকে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে। এ থেকে শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ ময়লাগুলো গর্ত করে ফুড়ে ফেলা উচিত।

নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র লায়ন জাহেদ চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকে ওই ১১ বছর ধরে স্থানে ময়লা- আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ময়লা -আবর্জনা ফেলার জায়গার জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। আমরা অন্য একটা ফান্ড থেকে ময়লা ফেলার জন্য জায়গা নিতে চেষ্টা করছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by