প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২০ , ৭:১৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় ভাওয়ালগড়, মির্জাপুর, পিরোজালী ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান পরিচালক ও সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দালালী ও সুবিধা না পেয়ে লাইন স্থাপনে বাধা সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর সদরের জানাকুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম নরওয়ের পাসপোর্টধারী। সে দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্টনমেন্ট এলাকার নয়নপুরে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ নরওয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’টি পরিচালনা করছেন। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসটি একই এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদেও পরিচালক নির্বাচিত হন। পরিচালক হওয়ার পর থেকে সার্বক্ষণিকভাবে অফিসে বিচরণ করেন এবং সাধারণ গ্রাহকের যে কোন কাজ করতে হলে তার স্মরণাপন্ন হতে হয়। অফিসের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে সে দালালী করে বিপুল পরিমান টাকা-পয়সার মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জানাকুর এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে মহল্লার উপর দিয়ে ১১ হাজার ভল্টের লাইনটি রাস্তার পাশে স্থানান্তরে বাধা দেয়ার অফিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, সার্জেন্ট মোঃ শহিদ, মোসাঃ তাসলিমা গত একবছর যাবত তাদের ঝুকিপূর্ণ লাইনটি সরানোর কাজে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মূখীন হচ্ছেন। গত বছরের মে মাসে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে নকশা তৈরী করা হয়। লাইন স্থানান্তরে ঠিকাদার পদক্ষেপ নিলে সভাপতি নুরুল ইসলামের লোকজনের দ্বারা বার বার বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তাদের দাবী। সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি-২, কাপাসিয়া উপজেলার টোক- সিংহশ্রী এলাকার গ্রাহক সমিতির সাবেক পরিচালক ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহর আলী প্রধান।