দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে বছরের পর বছর ধরে কবর খননের কাজ করেন তারা পরকালের পুণ্যের আশায়

  প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ৭:০৪:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু (সীতাকুণ্ড) চট্টগ্রাম:

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পরকালের পুণ্যের আশায় বছরের পর বছর ধরে কবর খননের কাজ করেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমাম নগর গ্রামের মোহাম্মদ এরশাদ, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ সাহেদ, মোহাম্মদ সজিব, গিয়াস উদ্দিন , রাশেদ ও ইকবাল।

স্থানীয় যুবক মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, যত রাতই হোক কিংবা প্রতিকুল আবহাওয়ায় হোক সবকিছুকে উপেক্ষা করে তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে লাশ দাফন করতেই হবে। আপনজন না হোক কিংবা করোনা আক্রান্ত হোক, সামাজিক দায়বদ্ধতা যেন তাদেরকে তাড়িয়ে ফেরে। পেশা তাদের ভিন্ন হলেও গ্রামের কোন ব্যক্তি মারা গেলে তারা দ্রুত ছুটে যান কবর খুঁড়তে। করোনার মহামারির ভয়ও তাদের আটকাতে পারেনি।

মানুষের মৃত্যুর পর দাফনের জন্য সুন্দরভাবে কবর খনন করাও সুন্নাত। আর সুন্নাত পদ্ধতিতে কোনো মুসলমানকে দাফন করার জন্য কীভাবে কবর খনন করতে হয় কিংবা কবর কী পরিমাণ গভীর করতে হয় তা হয়তো অনেকেই জানে না। কবর খননের আগে প্রথমেই দেখতে হবে মাটি শক্ত-মজবুত নাকি নরম। তারপর মাটির ধরণ অনুযায়ী কবর খনন করতে হয়। এসব গোর খোদকরা এলাকায় কারও মৃত্যুর সংবাদে নিজেদের কাজ ফেলে সবার আগে মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে ছুটে যান গোরস্থানে।

তারা কারও ডাকের অপেক্ষা করেন না। পারিবারিক অনুমতি নিয়ে হাতের নিপুণতায় শেষযাত্রার আপন নিবাস তৈরি করেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। একটার পর একটা কবর খোঁড়াই তাদের কাজ। তারা দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের শত শত মৃত ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করেছেন বিনা পারিশ্রমিকে। এ কাজ করতে গিয়ে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে যে ভালবাসা পাচ্ছেন, এটাও তার পরম শান্তির। তাই শরীরে শক্তি-সামর্থ্য থাকলে আমৃত্যু এ কাজটি তারা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রাখেন।

আরও খবর

Sponsered content