বাংলাদেশ

সেরামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভাবতে বলছে সংসদীয় কমিটি

  প্রতিনিধি ৯ মে ২০২১ , ৮:১০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা না দেওয়ায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার বিষয়ে ভাবতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। 

রোববার (০৯ মে) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা না আসার বিষয়ে আলোচনার পর কমিটির পক্ষ থেকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদীয় কমিটি বলেছিল যে একাধিক সোর্স থেকে টিকা আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন একটা সোর্স থেকে নিলেন কেন? এটা আমরা জিজ্ঞেস করেছি।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে যে এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে তারা বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। তবে জুলাইয়ে ভারত থেকেও টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ও চায়না থেকে আনার চেষ্টা তো করছেই।

ফারুক খান বলেন, দেশে টিকা দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ার আগে আমরা ভারতের যে টিকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত আছে, সেটা আনা যায় কিনা, সেই উদ্যোগ দ্রুততার সঙ্গে নিতে বলেছি।

এছাড়াও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট যে আমাদের নির্ধারিত সময়ে টিকা দিল না এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবেন কিনা, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে বলেছি বলেও উল্লেখ করেন ফারুক খান।

ভারতের ভাইরাসের ধরন বাংলাদেশে পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে লকডাউনটা আরও শক্তিশালী করতে বলেছি। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী টহল দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

রোববার সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাবার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সংসদীয় কমিটিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবে মিল্লাত ও কাজী নাবিল আহমেদ অংশ নেন।

দেশে প্রথমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেয়া হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ৩ কোটি টিকা আনার চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী আগাম টাকাও দেওয়া হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রানেজেকার টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের (৮০ লাখ) পর আর টিকা দেয়নি সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

যে টিকা এখন মজুত আছে, তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজও সবার দেওয়া সম্ভব হবে না। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা এবং ভারতের পাঠানো উপহারের টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by