ঢাকা

হাতুড়ি লোহার টুং টাং শব্দে মুখরিত জিনজিরা তাওয়া পট্টির কামার পল্লী

  প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৪ , ৭:৩৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

হাতুড়ি লোহার টুং টাং শব্দে মুখরিত জিনজিরা তাওয়া পট্টির কামার পল্লী

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেরানীগঞ্জের মেইড ইন জিনজিরার তাওয়া পট্টির কামারিরা সারা বছর টুকটাক কাজ করলেও ঈদের আগে দম ফালানোর সুযোগ পান না কেউ তীব্র গরমে ও বিশ্রামের সুযোগ মিলছে না তাদের দিন রাত এক করে ছুরি চাপাতি দা বটি তৈরিতে ব্যস্ত কারিকরা তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি আর চাইনিজ পণ্যের বাজার দখল করায় খানিকটা অস্বস্তিতে কামার শিল্পের সাথে জড়িতরা।

বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের পশুর জবেইর সরঞ্জামাদির চাহিদা বেড়ে যায় সে কারণে এমন ব্যস্ততা কামার পল্লীতে কারিগরেরাও উত্তপ্ত লোহা পিটিয়ে তৈরি করছেন ছুরি চাপাতি দা বটি ঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহের তারা থাকায় তীব্র তাপ প্রদাহে বিরতি মিলছে না তাওয়া পট্টির কামারিদের।

দিন কে দিন বিক্রি কমে গেলেও জীবিকার তাগিদে ব্যবসা ধরে রেখেছেন কামারীরা তাছাড়া দিন দিন নিত্যনতুন চাইনিজ পণ্য বাজার দখল করায় তারা বাজার হারাচ্ছেন। চাইনিজ পণ্য সহজলভ্য হলেও দেশীয় পণ্যের গুণগতমান ভালো এই দাবি কারিকরদের।

এই জিনিসগুলো আমরা নিজেরা বানাই টাকা টাও আমাদের নিজেদের দেশে রয়ে গেল আর চায়না থেকে জিনিস আনলে এই জিনিসের থেকে মজবুত কম এবং টাকাটা অন্য দেশে চলে গেল এই মন্তব্য করেছেন কামারিরা তিনি আরো বলেন যেখানে আগে দশটা বিক্রি করতাম সেখানে এখন ছয়টা বিক্রি করি কারণ চায়না মাল ঢোকাতে আমাদের দেশের পণ্যের চাহিদা একটু কমে গেছে।

তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কাও আছে এক কামারি বলেন ৮- ৯ মাসের ঘর ভাড়া বাকি রয়ে গেছে কুরবানির ঈদ মৌসুমে অধিক বিক্রি করে তাদের ঘর ভাড়া পরিষদ করবে এ আশা রাখেন তিনি তারপরে তিনি ডাল ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলেই হবে।

প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

আরও খবর

Sponsered content