ঢাকা

২৪ ঘন্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ; চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ 

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২৪ , ৩:০৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

২৪ ঘন্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ; চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ 

বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবীতে ২৪ ঘন্টা ধরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে একটি তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আর চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন সহ মানুষজন। 

মঙ্গলবার সকাল নয়টায় সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। যা দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা পার হলেও অবরোধ তুলে নেয়নি শ্রমিকরা। 

মহাসড়ক অবরোধকারী শ্রমিকরা জানায়, গেল মাসের ২৮ তারিখ থেকে বার্ডস গ্রুপের সকল কারখানা লে-অফ করা হয়। শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে এবং সার্ভিস বেনিফিট সহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর দেয়ার কথা ছিল। চুক্তিমত শ্রমিকদের বেতন কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করলেও যে সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ছিল তা পরিশোধ করতে আরো তিন মাসের সময় চেয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। যার কারণে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। 

সরেজমিনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, আশুলিয়ার জিরানী বাজার, কবিরপুর, বাড়ইপাড়া, চক্রবর্তী, শ্রীপুর সব স্থানেই যানবাহন ঢাকামুখী লেনে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রামুখী লেন বাইপাইল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। গেল ২৪ ঘন্টা ধরেই যানবাহন থেমে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা থাকায় শ্রমিকরা ভোগান্তি নিয়েই কর্মস্থলে যোগদান করেছে। গণপরিবহন ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও শুধু রিকশা, অটোরিকশা অপর লাইনে চলতে দেখা গেছে।

এছাড়া, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ইপিজেড থেকে চন্দ্রা মুখী লেন ফাঁকা রয়েছে। তবে এ লেনে রিকশা, অটোরিকশা ও মাহিন্দ্র চলতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এসবের চালকদের বিরুদ্ধে। 

বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে যাওয়া মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এরকম ভোগান্তিতে কখনো পড়েনি তারা। সময় মত অফিসে পৌছাতে পারবে কি না, তাও জানা নেই। অনেক লোকজন পায়ে হেঁটেও গন্তব্যস্থলে গিয়েছে বলে জানান। ২৪ টা ঘন্টা ধরে রাস্তা বন্ধ, আর কত ভোগান্তি পোহাতে হবে কে জানে?

এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার বক্তব্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

আরও খবর

Sponsered content