প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২৪ , ৭:১২:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে কদোয়ার চাষ। ফলনে ও দামে খুশি কৃষকেরা। অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা যায় এ সবজি চাষে। সবজিতে কদোয়ার কদর রয়েছে বাজারে। কদোয়া চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম। এছাড়া অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক কদোয়া চাষে ঝুঁকছেন।
তবে এবারে তীব্র তাপদাহের কারণে সবজি চাষে একটু সমস্যা হয়েছে। এখন বৃষ্টি হওয়ায় কদোয়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া কদোয়া চাষে আর্থিক সচ্ছলতা ও স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এছাড়া ধান উৎপাদনে খরচ বেশি লাভ কম। তাই ধান ও পাটের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৫২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৩২০ হেক্টর। এর মধ্যে কদোয়া চাষ রয়েছে। জুনের মধ্যে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান। কদোয়া চাষ একটি লাভজনক ফসল। অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা যায়। এ ছাড়া কদোয়া চাষিদের উপজেলা কৃষি আফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতজুড়ে কদোয়ার চাষ। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তারা খরচের দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন কদোয়া চাষে। কদোয়া চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম থাকায় দিনে দিনে কদোয়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকেরা জানান, কদোয়া চাষ একটি লাভজনক ফসল। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। সবজির মধ্যে অন্যতম কদোয়া। সু-স্বাদু হওয়ায় বাজারে ক্রেতাদের অনেক চাহিদা থাকে।
এছাড়া ধান উৎপাদনে খরচ বেশি লাভ কম। তাই ধান-পাটের পরিবর্তে কদোয়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দলদলিয়া টাপুরকুটি এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, এবারে তিনি ১৫ শতক জমিতে করলার চাষ করেছেন। কদোয়া বাজারজাত করা পর্যন্ত খরচ করেছেন প্রায় ৪ হাজার টাকা। আরও খরচ হবে প্রায় ২ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে ৬ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কদোয়া বাজারে বিক্রি করেছেন ১০ মণ।
প্রতি মণ ৬০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করে আয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। যে ভাবে কদোয়া ধরেছে তাতে আরও ২০ মণ কদোয়া হবে বলে জানান। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ১২ হাজার টাকা। মোট আয়ের আশা করছেন ১৮ হাজার টাকা। যা খরচেরও দ্বিগুণ লাভ।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কদোয়া চাষিদের মধ্যে আইয়ুব আলী, শহিদুর মিয়া, এরশাদুল মিয়া, মোকলেছুর রহমান, আজাহার আলী, জাহেরুল মিয়া ও মজিত মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, এবারে কদোয়ার বাম্পার ফলন হয়েছে।
তবে তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক কদোয়ার ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া অল্প খরচে অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ করা যায় কদোয়া চাষে। যে কারণে দিনদিন কদোয়া চাষের প্রতি ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকেরা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, কদোয়ার চাষ একটি লাভজনক ফসল। যা অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব।
এছাড়া ফলন ও দাম ভালো থাকায় দিন দিন কদোয়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কদোয়া চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।