বাংলাদেশ

যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জনগণের আস্থা-বিশ্বাস দরকার : প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ৪:১৮:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জনগণের আস্থা-বিশ্বাস একান্তভাবে দরকার। তাছাড়া আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এই নীতি আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সব ধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। দেশমাতৃকার প্রতি এবং দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেটা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছেন, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ, এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে দেশে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না, কারেন্সি নোট ছিল না। রাস্তাঘাট, ব্রিজ সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। তাছাড়া একটি প্রদেশ, তাকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং তার উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি অতি দ্রুত করেছিলেন। যুদ্ববিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্বাসন করে পুনর্গঠন করে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ, আমাদের কিছুই ছিল না। তারপরও বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বাহিনী গড়ে তোলেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর বিশেষ অবদান রয়েছে। যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাই।

ক্যাডেটদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন আমাদের ক্যাডেটদের নিয়ে গর্ব করতে পারি। তা ছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা কাজ করি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলতে হয়, সেজন্য প্রশিক্ষকদের কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। প্রশিক্ষকদের কথা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশিক্ষণ উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে, এই কথাটা মনে রাখতে হবে। আমাদের স্বাধীন দেশ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্ব দরবারেসব সময় মাথা উঁচু করে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by