দেশজুড়ে

রায়পুরে টানা বর্ষণে পানিবন্ধি হাজার হাজার পরিবার

  প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২৪ , ৪:২৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

রায়পুরে টানা বর্ষণে পানিবন্ধি হাজার হাজার পরিবার

লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলায় গত ৫ দিনের টানা প্রবল বর্ষণে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। বহু রাস্তাঘাট, বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।উপজেলার পৌর শহর সহ উপজেলার দশটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যার কারনে। 

ভেসে গেছে কয়েক শত মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ। বহু স্থানে গরু,ছাগল ও মুরগীর খামারিদের খামার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষীরা।মাছ চাষি জাকির হোসেন,রুবেল,ফারুক,ভজল, ও মুছা জানান,তাদের ইজাড়া নেওয়া প্রায় ২৫০ টি পুকুরের অন্তত  ৫০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। কয়েক হেক্টর আমনের বীজতলাও শাক সব্জির বীজতলা গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

রায়পুর পৌর সভার বাসিন্দারা বলছেন পর্যাপ্ত ড্রেনেজ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা বর্ষার মৌসুমে ডুবে যায়। গত ৫ দিনের প্রবল বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে উপকুলীয় এলাকার নিম্মাঞ্চল সমুহ ৪ থেকে ৫ ফুট প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ স্থানে রাস্তা ঘাট ও কাঁচা পাকা ঘরের সামনে কোমর পরিমান পানি দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঢুকে গেছে পানি। নিম্মাঞ্চলের বহু ঘর ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে বহু পুকুর ও জলাশয়ের ছোট বড় মাছ বের হয়ে গেছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন মাছ চাষিরা।দাদনে টাকা নিয়ে অনেক মাছ চাষি পুকুর ইজাড়া নিয়ে মাছ চাষ করেছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যান চলাচলও বিঘ্ন হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে বাড়ী ঘর নির্মাণ আর বিভিন্ন স্থানে খাল- নদীতে বাঁধ দেওয়ায় এবং অবৈধ ভাবে দখল করার কারণে এবং পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতেপানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো পরিবারের মানুষ।

রায়পুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক ড.আশ্রাফুল আলম জিমি বলেন,রায়পুর পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ব্যপারে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না নেয়ার কারনে আজকের এই জলাবদ্ধতা। আমি চাই সামনে যিনিই মেয়র হবেন তার প্রথম কাজ হবে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্হা করে পৌরবাসিকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা।