রংপুর

কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২০ , ৬:১৮:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় জোড়পূর্বক সুপারের পদ দখলে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।

রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি আব্দুল খালেক মিয়া ও বর্তমান সুপার মো. শাহানুর আলম অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ৩০জুন স্বেচ্ছায় ইস্তফা প্রদান করেন সাবেক সুপার মো. আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও তিনি ২০০৪ সাল থেকে একই উপজেলার মধ্যকাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী পদে যোগদান করে সরকারী বেতনভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। তার ইনডেক্স নং-২০০৬৫৫২৮। পরে ছিটমহল বিনিময়ের পর ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসাটি জাতীয়করণ ঘোষণা করা হয় এবং সাবেক সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ইস্তফা দেয়ার পর সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মো. শাহনুর আলম। কিন্তু জাতীয়করণ ঘোষণার পর সাবেক সুপার আমিনুল ইসলাম কিছু দাঙ্গাবাজ লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় ঢুকে জোড়পূর্ব সুপারের চেয়ারে বসে পরেন এবং সমস্ত কাগজপত্র হাতিয়ে নেন। এরপর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তার পিতা আব্দুর রহমানের সাথে যোগসাজস করে পুর্বের তারিখে নিজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবৈধ পন্থায় পুনরায় সুপার পদে নিয়োগ নেন। এসময় নতুন করে পূর্বের শিক্ষকদের পদে গোপনে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ ও যোদানপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দেন। মাদ্রাসা শুরুর সময় প্রকৃত শিক্ষকগণের কাছেও মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য ইতিপূর্বে তিনি ৩২লক্ষ ৩৮হাজার টাকা নিয়েছিলেন। এখন প্রকৃত শিক্ষদেরকেও তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশে বাঁধা প্রদান করছেন।

এনিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জবরদখলকারী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ মহাপরিচালক মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত কোন সমাধান না হওয়ায় বর্তমান সুপার ও শিক্ষকগণ মাদ্রাসায় ঢুকতে না পেরে রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মো. শাহানুর আলম। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বেচ্ছাচারী ও জবরদখলকারী আমিনুল ইসলামের শাস্তি ও মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by