বাংলাদেশ

বিএনপি নেতারা মিডিয়ায় গলাবাজির রাজনীতি করছে: কাদের

  প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২০ , ৫:৫৩:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা অপরাজনীতির অন্ধকার গিরিখাতে পথহারা পথিকের মতো প্রলাপ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা মিডিয়ায় গলাবাজির রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। তারা এখনো বুঝতে পারেনি গলাবাজির রাজনীতির দিন শেষ, বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যার্ত জেলাসমূহে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যখন বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে, তখন বিএনপি মানুষের পাশে থাকা তো দূরের কথা উল্টো মানবিক সংকটকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। যারা দুর্যোগ-দুর্বিপাক ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে না কেবলমাত্র বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

বিদেশ গমনেচ্ছুদের করোনা পরীক্ষার যৌক্তিক সময় নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ না করে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট আগে বা স্বল্প সময়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।কিন্তু নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন একদিকে বিদেশগামীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্বেগে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছে নমুনা দেয়ার পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে সংক্রমিত হলে তা বিদেশে নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়তে পারে। তখন প্রাপ্ত সনদ কাজে আসবে না বা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তাই বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষায় একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করা দরকার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নমুনা গ্রহণ এবং রিপোর্ট প্রদান করে তাদের উদ্বেগ কমানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নজর দেয়া জরুরি।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংক্রমিত বিশ্বের প্রতিটি দেশই চেষ্টা করছে সংক্রমণ রোধে। বাংলাদেশও মহামারি নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের সুরক্ষায় নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by