প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৮:২১:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ছোটখাটো ভুলের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে যদি স্বৈরাচার সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে, তবে হত্যাকারি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) সভাপতি ড. কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় সদর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যা দূর্গতদের উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের সেবার জন্য নয়, প্রতিশোধ নিতে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের নেতা যারা জেলে আছে, তারাও স্বীকার করেছে- শেখ হাসিনাকে বলতে শুনেছে, তার বাবাকে এদেশের লোকেরা যখন হত্যা করে, তখন সবাই মিষ্টি বিতরণ করেছে। তার বাবার গোসল ও জানাজাও ঠিকমত হয়নি। ক্ষমায় এসে জনগণের কাছ থেকে সেটার প্রতিশোধ নিতে।
তবে মনে রাখবেন, এটা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব। কোরআন-হাদিস থেকে যখন সরে যাবে, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকেও গজব নাযিল হয়ে যায়। সেই গজবই আওয়ামী লীগের ওপর পড়েছে। এই দলের নাম নিশানাও বাংলাদেশে থাকবে না।
এদেশে মুসলমানদের আর মূর্তিপূজা করতে হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের (বঙ্গবন্ধুর) যে কয়টা মূর্তি আছে সব ভেঙে ফেলেন। এটা ইসলামে হারাম। তবে হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। পবিত্র কোরআনে আছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি দফতরে এখনো স্বৈরাচারী হাসিনার লোটারা বহাল রয়েছে। যে কোন সময় তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। কারণ তারা এদেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। তাদের দরকার পয়সা। টাকা হলো তাদের আল্লাহ। আল্লাহকে যদি বিশ্বাস করতো মানুষকে কখনো গুলি করতে পারতো না। আমরা গুলি করেছি, তবে বাঙালিদের নয়, পাকিস্তানীদের। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের দেশের ছেলে মেয়ে, আত্মীয়া স্বজনকে গুলি করেছে। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুলিশ বলতে শুনেছি, একটা গুলি করলে একটা মরে, সঙ্গের গুলো সরে না। তারা জানে না এটা বাঙালির চরিত্র, তারা জীবন দিতে শিখেছে।