প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:৩৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
দলের জন্য জীবন বাজি রেখে পুলিশের গুলিতে ডান হাত হারানো বিএনপি নেতার এখন জীবন কাটছে অসহ্য যন্ত্রণা আর নিদারুণ অর্থ কষ্টের মধ্য দিয়ে। উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান গুলিবিদ্ধ হয়ে হাত হারানো ওই নেতা। অর্থাভাবে পরিপূর্ণ কিংবা উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত এ নেতার পাশে এখন কেউ নেই বললেই চলে।
প্রথমদিকে দলের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হলেও তা চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ছিল খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে ওই নেতা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, জানাচ্ছেন উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের আকুল আবেদন। উন্নত চিকিৎসা পেলে আবারও জীবন লড়াইয়ে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্নও দেখছেন দলের নিবেদিত প্রাণ ত্যাগী নেতা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ভাটিখাইন মির্জা আলী লেদু শাহ্ কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম। সে নির্বাচনে বিএনপি নেতা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।
আহত বিএনপি নেতা মো. সেলিম বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে এজেন্ট ছিলাম। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। এসময় আ.লীগ নেতা ও তৎকালীন পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহ’র নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালাতে থাকে। পুলিশের গুলিতে আমার ডান হাতের বাহু ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এরপর আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় আমার হাতে গুলি থেকে গেছে। এতে হাতটি ধীরে ধীরে অবশ হয়ে সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়ে গেছে। ক্ষতস্থানে গুলি থেকে যাওয়ায় পচনও ধরেছে। ধীরে ধীরে ক্ষতস্থানটি বড় হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি দলীয়ভাবে যে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছি, তা ঢাকা শহরে আসা যাওয়াতেই খরচ হয়ে যায়। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় এবং উন্নত চিকিৎসা করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে পড়েছি। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, আহত বিএনপি নেতা সেলিমের চিকিৎসায় তখন দলীয়ভাবে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছিল। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানেও যদি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয় নেতৃবৃন্দ করবে ইনশাআল্লাহ।