দেশজুড়ে

১২ টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বান্দরবানে সম্প্রীতির মিছিল

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:৩৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

১২ টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বান্দরবানে সম্প্রীতির মিছিল

শান্তির জন্য একসাথে,সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট।কেএনএফ পাহাড়ের আতংক, তাদের শেকড় উপড়ে ফেলো এ ধরনের কয়েক শত প্লেকার্ড হাতে কয়েকশতাধিক বাঙ্গালী,চাকমা,চাক,মারমা,তঞ্চঙ্গ্যা,ত্রিপুরা,বম,লুসাই, খিয়াং, ম্রো,খুমী,পাংখোয়া সহ ১২ টি জাতিগোষ্ঠীর সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ  প্রত্যেকে নিজেদের ঐতিহ্যগত পোষাক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বহন করে অংশগ্রহণ করেছেন সম্প্রীতির মিছিলে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার রাজার মাঠ হতে  সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে  ১২ টি জাতিগোষ্ঠীর  অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মিছিল ও জনসচেতনতা মূলক পথনাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে জেলার বিভিন্ন জায়গা হতে নিজেদের ঐতিহ্যগত পোষাক পরিধান করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ  মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন রাজার মাঠ প্রাঙ্গণে।

পরে রাজার মাঠ হতে বর্ণাঢ্য সম্প্রীতির মিছিলটি  জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে  মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। 

মিছিল পরবর্তী সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা মূলক এক পথনাটক অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে “সম্প্রীতির মিছিলে বান্দরবান” শীর্ষক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

মূলত দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য বান্দরবানে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন গুলোর অপতৎপরতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলের পাহাড়ি বাঙ্গালী সহ সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রো, বান্দরবান হোটেল

মোটেল রির্সোট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.জসীম উদ্দিন, শিক্ষাবীদ ক্যশৈপ্রু খোকা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের

সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লা মারমা,বম সোশ্যাল কাউন্সিলরের সভাপতি লাল মুন থাং বমসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের

নেতৃবৃন্দ।

মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে পাহাড়ে স্থায়ী  শান্তির লক্ষ্যে তারা যেনো ফিরে আশে সেই লক্ষ্যেই ১২ টি জাতিগোষ্ঠীর সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ আজ জড়ো হয়েছেন এই মিছেলে। 

আরও খবর

Sponsered content