ময়মনসিংহ

সরিষাবাড়ীতে আলুর দাম কম দেয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ

  প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ৩:৪১:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সরিষাবাড়ীতে আলুর দাম কম দেয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলুর দাম কম দেয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় জনতা দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। 

আহতরা হলেন- চর পোগলদিঘা গ্রামের কৃষক সোলায়মান হোসেন (৪০), রাব্বি মিয়া (২০), মজনু মিয়া (৩৮), টুকন মিয়া (৩২) ও মোনারপাড়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুরুজ আলীর ছেলে সানি (২৫)। 

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, বয়ড়া বাজারে হাটের দিন থাকায় পোগলদিঘা গ্রামের কৃষক সোলায়মান হোসেন আলু বিক্রি করতে আসেন। এসময় হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও মোনারপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে সানি ১ হাজার টাকা মণ দরে ১৫ কেজি আলু তার কাছ থেকে কিনে নেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার সময় সে ৯০০ টাকা মণ দরে তাকে টাকা দিতে চান। ১০০ টাকা কম দেয়ায় আপত্তি জানান কৃষক সোলায়মান হোসেন। উভয়ের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় পোগলদিঘা গ্রামের মজনু মিয়া এগিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। এসময় সানি তার উপর উত্তেজিত হয়ে মারামারি শুরু করে। পরে হাটের লোকজন তাদেরকে ছাড়িয়ে দেয় এবং সবাই চলে যায়। এদিকে মজনু মিয়া একটি স্টলে চা খেতে বসে। এর কিছুক্ষণ পরেই সানি ও তার ভাই সাদ্দাম মিলে মজনু মিয়ার উপর আবারো অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় পোগলদিঘা গ্রামের রাব্বি ও টুকন মিয়া ফিরাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে দুই ভাই। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে হাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রা সানি ও সাদ্দাম হোসেনকে পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে এবং পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আহত রাব্বি ও মজনু মিয়া বলেন, আমরা মারামারি ফিরাতে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু সানি ও সাদ্দাম আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করেছে। আমরা এঘটনায় প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. চাঁদ মিয়া বলেন, পোগলদিঘা বয়ড়া হাটে আলুর দাম কম দেয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় দুইজনকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে জনতা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও খবর

Sponsered content