প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ , ৬:৩৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলে স্বরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং ২টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বগা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, আতাহার কাজী, সবুজ কাজী, রেজাউল কাজী, দুলাল কাজী, সোহেল কাজী , জসিম খান ,রফিক খান ও ফজলুল খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে স্থানীয় আতহার কাজীর বসতঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খুব দ্রুত সময়ে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পরে। ঘরের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে পাশ্ববর্তী ঘরগুলোতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছয়টি বসতঘর। এছাড়াও দুটি বসতঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরে কোনো আসবাবপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বাউফল ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের মুঠোফোন নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও দীর্ঘ সময় কেউ মুঠোফোনের কল রিসিভ করেনি। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পরে মুঠোফোনে জানানো সম্ভব হয়। কিন্তু তাদেরকে অবহিত করার পরেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ১ ঘণ্টা বিলম্ব করে ফায়ার সার্ভিস।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করে বাউফল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. সাব্বির আহম্মেদ বলেন, একটি বসতঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ৯টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানতে পেরেছি। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই। নদীতীরবর্তী এলাকায় হওয়ায় পানি সাপ্লাই ভালো ছিল, তাই দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রথমে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়েছিলো। তাদের সংযোগ পেতে হয়তো বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যেতে আমরা একটুও বিলম্ব করিনি। কিন্তু আমাদের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার মত রাস্তা ছিল না। ফেরিতে করে নদীপথে ঘটনাস্থলে পৌঁছৈ আমাদের টিম আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছেন।