প্রতিনিধি ১০ মার্চ ২০২৫ , ৪:০৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার আশুলিয়ায় একাধিক ককটেল ফুটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতের চাপাতির কোপে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দীলিপ দাশ নিহত হয়েছেন।
রোববার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের দীলিপ স্বর্ণালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত দীলিপ দাশ আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের দুলাল দাশের ছেলে। তিনি নয়ারহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৯ টার দিকে তারাবির নামাজের সময় ফাঁকা বাজারে নিজ স্বর্ণের দোকান বন্ধ করছিলেন মালিক দীলিপ দাস। এসময় চার/পাঁচজন দুর্বৃত্ত ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দোকান মালিক দীলিপকে এলোপাথাড়ি চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় দোকান মালিকের কাছে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দোকান মালিককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দিলীপ দাশের স্ত্রী সরস্বতী দাস বলেন, রোববার কয়েকজন ডাকাত প্রাইভেট কারে এসে স্বর্ণপট্টিতে হানা দেয়। এ সময় আমার স্বামীর দোকানে থাকা ২০ ভরির মতো স্বর্ণালংকার একটি ব্যাগে ভরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন। আমি পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ডাকাতেরা পেছন থেকে এসে আমার স্বামীর হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয়। তিনি বাধা দিলে ডাকাতেরা চাপাতি দিয়ে তার গালে, বুকে ও পিঠে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় বাজারের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসে। পরে ডাকাতেরা ককটেল ফুটিয়ে স্বর্ণের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাত দলে ৩-৪ জন ছিল। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশে ৭-৮ জন ছিল। ঘটনার পর ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজন দিলীপকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
এবিষয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান পাভেল বলেন, চাপাতির আঘাতে দিলীপ দাশের ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র কেটে গেছে। তার গালে ও পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, দীলিপ দাশ দোকানে তালা লাগানোর সময় চার ব্যক্তি এসে তাকে দুইবার ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।