প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২১ , ৩:৫৮:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস, দ্যা হিন্দু, এবং আনন্দবাজার জানায়, ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ না করতে বিশ্বের স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। শনিবার (২২ মে) দেশটির তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘বি-ওয়ান সিক্স ওয়ান সেভেন’ নাম দেওয়ায় এটিকে কোনো অবস্থাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করা যাবে না। জনসমক্ষে প্রকাশ করা না হলেও সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, যেসব স্যোসাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এখনও ভ্যারিয়েন্টটির নাম ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অবিলম্বে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
অন্যদিকে ভারতজুড়ে করোনার লাগামহীন ছোবলের মধ্যেই, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে দেশটির দুর্গম অঞ্চলে। ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ গ্রামেই নেই কোনো হাসপাতাল। এমনকি নেই কোনো চিকিৎসকও। এতে অনেকটা বাধ্য হয়েই হাতুড়ে চিকিৎসক কিংবা তাদের সহযোগীর কাছেই শরণাপন্ন হচ্ছেন অসহায় মানুষ। প্রতিনিতই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
সাধারণ মানুষ বলেন, এখানে কোনো হাসপাতাল নেই। ছোট একটি ক্লিনিক ছিল সেটিও অনেক দিন ধরে বন্ধ। কোনো ধরনের কোন চিকিৎসা সুবিধা এই গ্রামটিতে নেই। আমরা এখানে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা পাই না। কিছুদিন আগে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এসেছিল, এরপর আর কেউ আসেনি। বিন্দুমাত্র চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না আমরা।’
ভিন্ন চিত্র মহারাষ্ট্রে। করোনা সংক্রমণ প্রবণ এ রাজ্যটির ভ্যাকসিন কার্যক্রমে গতি আনতে মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকটি মন্দিরকে টিকাকেন্দ্রে রূপান্তর করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যেখানে নিবন্ধন ছাড়াই যে কেউই এসে নিতে পারছেন করোনার টিকা।
অন্যদিকে, দিল্লিতে করোনার টিকার তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় সেখানে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের চলমান টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।