রাজধানী

পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ১০:১৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৬ মে) রাতে পল্লবী এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম রাসেল হোসেন (২৬) ওরফে বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু। তিনি এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ নম্বর আসামি।

এ নিয়ে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ২০। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে তদন্তে নাম আসায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চারজন।

এ ড়া এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া মনির ও মানিক নামের দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এই খুনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে মনির ও মানিককে কোপাতে দেখা যায়।

র‍্যাব-৪-এর গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার রাসেল ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ১৬ মে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর সিরামিকস গেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালসহ তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই দুই সহযোগী হলেন নূর মোহাম্মদ ওরফে হাসান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ দোষ স্বীকার করে গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে সুমন ব্যাপারীসহ তিনজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। টিটু ও শরিফ নামের দুই আসামিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এক আসামির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ডিবি বলছে, পল্লবীর বুড়িরটেক-সংলগ্ন আলীনগরে জমি দখল করে আবাসন প্রকল্প গড়তে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পুষতেন আউয়াল। তার আলীনগর প্রকল্পের কার্যক্রম ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধ বাঁধে সাহিনুদ্দিনের সঙ্গে। এর জেরে তিনি সাহিনুদ্দিনকে খুন করান। এই খুনের জন্য সন্ত্রাসীদের ২০ হাজার টাকা দেন আউয়াল।