রাজশাহী

অনন্য হাঁড়িচাচা পাখি

  প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২১ , ৭:১১:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

বসন্ত দাস, বেড়া (পাবনা) : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এক সময়ের গ্রামীণ জনপদের মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে যেতে চোখে পড়তো রাস্তার দু’ধার দিয়ে অসংখ্য গাছপালা ও ঝোপঝাড়ে বিভিন্ন পাখির অনাগোনা। সেই অতীত সময়ে সকাল-সন্ধ্যায় বিভিন্ন পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত থাকতো চারিদিক। কিন্তু বর্তমান সময়ে পাল্লা দিয়ে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে বিভিন্ন গাছপালা ও ঝোপঝাড়।

আর এ কারণে দেশীয় পাখির বিচরণও বহুলাংশে কমে গেছে এবং আরো যাচ্ছে। পাবনার বেড়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের বিভিন্নাঞ্চলে এখনো আম, কাঁঠাল, জাম পেয়ারা ছাড়াও আছে বড় বড় রেইনট্রিসহ নাম না জানা অনেক গাছ চোখে পড়ে। গাছগুলোতে বিভিন্ন পাখির আনাগোনা। দেখা যায় অচেনা অনেক নতুন পাখিও। এদের আছে বেশ ছন্দ। ফটফট শব্দে গোটা কয়েক ডানার ঝাপটা, ডানা ও লেজ ছড়িয়ে শন্যে ভেসে চলা, আবার ডানার ঝাপটা, আবার ভাসা। ডানার কয়েকটা পালক সাদাটে।

লেজের মাঝের পালকও তাই। দুই পাশে কালোর মাঝে যেন ফ্রেম আটা। আর এই পাখিটির নাম হাঁড়িচাচা। দেশের বিভিন্নাঞ্চলে হাঁড়িচাচা পাখিকে আঞ্চলিক নামে ডাকা হয়। হাঁড়িচাচা পাখি স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে একই রকম সুন্দর। লম্বায় লেজসহ ১৭ থেকে প্রায় ১৯ ইঞ্চি লম্বা।

লেজওয়ালা পাখিদের মধ্যে এটি অন্যতম বলা যায়। পাখির লেজটাই প্রায় ১২ইঞ্চি। এত বড় লেজের কারণে পাখি প্রেমিদের দৃষ্টি কাড়ে। হাঁড়িচাচা পাখির শরীরের পালকের রঙ বাদামি। মাথা, গলা এবং বুকের কিছু অংশ ফিকে কালো। হাঁড়িচাচা পাখির লেজে মোট ১২টি পালক থাকে।

লম্বা লেজের মাঝের পালক দুটি বেশ লম্বা। ছোট ডানা ও লেজের রঙ ধুসর সাদা। বাঁকিগুলো কালো। লেজের অগ্রভাগ কালচে। কাকের মতো শক্ত মোটা ও ধারালো ঠোঁট, কালচে ধুসর ঠোঁট কিছুটা চাপা ও বাঁকা। পায়ের রং গাঢ় ধুসর। নখযুক্ত পা একটু বড়। চোখের মণি লালচে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে অতি পরিচিত হাঁড়িচাচা পাখি। শরীরে রঙের বাহার আার আর্কষণীয় লম্বা লেজের কারণে ব্যাপক পরিচিত এ পাখি উঠে এসেছে বাংলা সাহিত্য তথা ছড়া, গল্প, কবিতায়।

 

আরও খবর

Sponsered content