প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২১ , ৮:২২:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মই বেয়ে দশ ফুট ওয়াল টপকে নিজ বাড়িতে চলাচল করতে হয় ফকির আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের। বহুল আলোচিত বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেমে প্রকাশ হওয়ার পর নিজ হাতে দেয়াল ভেঙ্গে বন্ধ যাতায়াতের রাস্তা খুলে দিলেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকার দরিদ্র ফকির আলীর পরিবারের যাতায়াতের জন্য নিজ হাতে ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে বন্ধ রাস্তা খুলে দেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। রাস্তা খুলে দেওয়ায় ফকির আলীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ধন্যবাদ জানান পৌর মেয়রকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ ৮ মাস ধরে মই দিয়ে দশ ফুট উচু দেওয়াল টপকিয়ে নিজ বাড়িতে যাতায়াত করছিলেন হতদরিদ্র ফকির আলীর পরিবার। ফলে শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও নারীসহ পরিবারের সবাই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইনে পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের।
বুধবার তিনি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বন্ধ রাস্তাটি খুলে দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। এসময় তিনি সড়কটি ঢালাই করার ঘোষনাও দেন। পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, বিভিন্ন মাধ্যেমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার কোন সুযোগ নেই। পৌর শহরে রাস্তা বন্ধের কারণে একটি অসহায় পরিবার অবরুদ্ধ থাকবে তা হতে পারে না। তাই রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছি এবং সেই রাস্তাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা ফকির আলী প্রায় বিশ বছর আগে জমি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তার বাড়ির পাশেই ফিরোজ মিয়া নামে এক ব্যক্তিও জমি কিনে বাড়ি করেন। জমির পূর্ব মালিকরা এলাকাবাসীদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা দিয়েই জমি বিক্রি করেন। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ফিরোজ মিয়া রাস্তাটি তার জমির উপর দিয়ে গেছে বলে দাবি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দেন। ফলে চা বিক্রেতা ফকির আলীর পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। উপায় না থাকায় মই দিয়ে ১০ ফুট উচু দেওয়াল টপকে যাতায়াত করে আসছিলেন ফকির আলীর পরিবার।