করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা দেশে চলছে ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধ। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাওর ভ্রমণ করেছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। সঙ্গে ছিল দলীয় নেতা কর্মী, নিজের ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিবার। এ নিয়ে নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
গতকাল শনিবার হাওর ভ্রমণের ছবি এমপি তাঁর নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। তাঁর এই ভ্রমণ সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
জানা যায়, শনিবার সকালে নান্দাইল থেকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল তাঁর পরিবারসহ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সালাম, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সাল, ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হাসান রয়েলসহ আরও কয়েকজন নেতা কর্মীকে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে বেড়াতে যান। এ সময় বেশিরভাগের মুখেই ছিল না মাস্ক।
এমপির হাওর ভ্রমণের ছবির পোস্টের নিচে মাহমুদুল হাসান মেসাদ নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘লকডাউন এবং সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আপনি। আপনি জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এমন আইন ও নিয়ম ভাঙেন তাহলে আমরা যারা সাধারণ জনগণ তারা তো সরকারের এমন আইন ও নিয়মকানুন না মানাটাই স্বাভাবিক।’
এমপির ফেসবুকে পোস্ট এবং অনেকের মন্তব্য। ছবি: সংগৃহীত জাকিরুল হাসান জিকু নামের আরেকজন কমেন্টে বলেছেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধিরা নিজেরাই লকডাউন মানেন না। শুধু শুধু জনগণের ওপর হয়রানি।’
নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ–এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এমপির হাওর ভ্রমণ দুঃখজন ঘটনা। তাঁরা আইন প্রণেতা হয়ে আইন ভঙ্গ করলে সেটা সাধারণ মানুষ ভালো ভাবে নেয় না। সেই আইন সাধারণ মানুষ মানতেও চায় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন লকডাউন উপেক্ষার বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, মন চেয়েছে তাই ঘুরতে গিয়েছি। তবে একজন অসুস্থ রোগীও দেখতে গিয়েছিলাম। এই বলেই ফোনের সংযোগটি কেটে দেন এমপি।