প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:১০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আজ প্রযুক্তির কারণে অনেক সংবাদ চলে আসছে। অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সম্পদ পাচার করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কয় টাকা বেতন পান? আজ বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকের অনেকেরই মাস গেলে খাওয়ার পয়সা থাকে না।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট চেক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক! তার মানে আসছে নির্বাচনে যত ধরনের অনাচার, যত ধরনের অপ-প্রক্রিয়া আছে, সরকার তা করবে। এর বিরুদ্ধে যেন কোনো সাংবাদিক না লেখেন এবং তার পত্রিকায় এ ধরনের কোনো খবর প্রচার না হয়, সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ অবরুদ্ধ থাকো, কথা বলো না। বেঁচে থাকলে তুমি জীবন্ত লাশ। গোটা জাতিকে এতিম করার সব প্রচেষ্টা নিয়েছে বর্তমান সরকার।
আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আইনই যেখানে নেই, সেখানে আইন দিয়ে কী করবেন? এতে আপনাদের উদ্দেশ্য বুঝা যায়।
তিনি বলেন, কে এম নূরুল হুদার মতো লোক খোঁজার জন্য যত ধরনের কাজ করা দরকার, তা করছেন ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের মেয়াদ শেষ। তাই আগেই খুঁজে বের করতে হবে কে এম নূরুল হুদার মতো একজনকে। কারণ আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের আরেকটি পরিকল্পনা রয়েছে। কে এম নূরুল হুদার মতো সিল মারবেন, বৈধতা দেবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের এমন একজনকে প্রয়োজন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝেমধ্যে কিছু কিছু ডায়ালগ দেন। জাস্ট একটা জাদুর পরিস্থিতি তৈরি করেন। মানুষ এই জাদু দেখে বিমোহিত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ভাবেন যে, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত বেকুব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানুষের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আজ প্রবল বেগে রাস্তায় নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আর নির্বাচন কমিশন স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কাজ করবে তখনই, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর প্রমুখ।