বাংলাদেশ

পিকে হালদারকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ, যা বললেন ভারতের হাইকমিশনার

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২২ , ৬:৪৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ভারতের কাছে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের আলোচিত জালিয়াত, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ করেন সচিব।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

বৈঠক শেষে পিকে হালদারের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এটি দুই দেশের নিয়মিত সহযোগিতার একটি অংশ।‌ দুই দেশের অপরাধীদের মোকাবিলার জন্য পারস্পরিক আইনি‌ সহায়তাসহ নানা ধরনের কাঠামো রয়েছে।

‘বাংলাদেশ সরকার ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তথ্য দিয়েছে। ভারতীয় সংস্থা ওই তথ্য যাচাইয়ের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অপরাধীদের দমনের জন্য সহযোগিতা রয়েছে।’

পিকে হালদারকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে কি না- জানতে চাইলে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, গত সপ্তাহে ছুটির দিনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে একটা সময় বাংলাদেশকে জানানো হবে।তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে সময় লাগতে পারে। কারণ এসব বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

‘এটি একটি আইনি বিষয়। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে জানানো হবে। বুঝতে হবে, এটি কিন্তু বড়দিনের কার্ড বিনিময় নয়। আমি মনে করি, এ ধরনের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।‌ সেটি আস্তে আস্তে হতে দিন। এ নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি।’

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। ৩০ মে দিল্লিতে জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

সুগন্ধায় লঞ্চে আগুন, মৃতদের জানাজায় মানুষের ঢল

ধামইরহাটে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন

সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর পর ৩ জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তৎকালীন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত। এরমধ্যে ওসি ও এসপিও রয়েছে। হত্যার বিষয়ে কথা হলেও মাদক বা অস্ত্র উদ্ধারের কোন তথ্য ফোনালাপে পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনায় এসপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আনা হবে আইনের আওতায়। টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, ৩১ জুলাই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তৎকালীন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করেন। তিন মিনিট কথা বলেন তারা। এরপর ৯ টা ৩৩ মিনিটে মালখানার ইনচার্জ কনস্টেবল আরিফের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন। তার সাথে ১ মিনিট কথা বলেন। এরপর ৯টা ৩৪ মিনিটে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন লিয়াকত। সেখানে তাদের কথা হয় তিন মিনিট। কথোপকথনে লিয়াকত ঘটনা সম্পর্কে এসপিকে জানান। কিন্তু সেখানে মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার কোন কথা উল্লেখ করেননি। এরপর ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সাথে কথা হয় এসপির। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে। ঘটনায় এসপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসপির নাম যদি আসে আমরা দেখবো, যার নাম আসে দেখবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দিবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্তের মধ্যে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন কিংবা যারা দোষ করেছেন বলে প্রমাণিত হবে তাদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের তাদের বিচার করা হবে।’ গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের একটি পাহাড়ি এলাকায় শুটিং শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা।

কুষ্টিয়া শহরে চার লেনের কাজ শুরু হচ্ছে

বরিশাল জেলায় চিকিৎসক-নার্স-পুলিশসহ শনাক্ত আরও ৪৯

অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, ছয় পুলিশ কারাগারে

Powered by