রংপুর

উলিপুরে সোনালু গাছ বিলুপ্তির পথে

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২৩ , ৮:৪৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রায় বিলুপ্তির পথে দৃষ্টিনন্দন সোনালু গাছ। প্রকৃতির এক অপার অলংকার ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কেউ আর করেনা তার তালাশ। গ্রীষ্ম ঋতুতে গাছের শাখা প্রশাখা জুড়ে থোকা থোকা পুষ্পমঞ্জুরি সোনালী হলুদ ফুলে ঢেকে যায় গাছ। সোনাঝরা এই ফুলের বাংলা নাম সোনালু অথবা বানরলাঠি বা বাঁদরলাঠি। কিশোরীর কানের দুলের মতো বৈশাখী হাওয়ায় দুলতে থাকে হলুদ-সোনালি রঙের এ ফুল। আবার ফুলের ফাঁকে দেখা যায় লম্বা ফল। এই হলুদ বরণ সৌন্দর্যে মাতোয়ারা করে রাখতো এক সময় প্রকৃতির চারপাশ। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি গাছে ফুটে আছে থোকায় থোকায় সোনালু ফুল। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম জানান, গাছটি দৃষ্টিনন্দন ফুল ও এর কাঠের জন্য বেশ পরিচিত ছিল। সোনালু গাছ সময়ের সাথে হারিয়ে যাওয়ায় তাকে আর তেমন দেখা যায় না। জানা যায়, অপরুপ শোভা দানকারী সোনালু ফুল বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুটে। সাধারণত সোনালু গাছ জন্মায় প্রাকৃতিকভাবে। প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী ও ভেষজ গুণাবলি সম্পন্ন এই গাছ বেশির ভাগই বেড়ে ওঠে অযতœ-অবহেলায়। এক সময় উপজেলার বন বাদারে, গ্রামীণ রাস্তার ধারে, পরিত্যক্ত জমিতে প্রায় সর্বত্রই সোনালু গাছের দেখা পাওয়া যেত। কালের পরিক্রমায় এ গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে খুব কম সংখ্যক গাছের দেখা মেলে। চিরচেনা সোনালু ফুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। হযরত ফাতিমা (রা.) পৌর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ইতিহাস প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন শাহিন বলেন, সোনালু ফুল গাছ প্রকৃতিতে শোভা বর্ধণকারী এক অসাধারণ গাছ। গাছটি সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, সোনালু গাছ এখন খুব কম দেখা যায়। উপজেলা থেকে এই গাছটি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content