সিলেট

হত্যার প্রতিশোধে জনশূন্য পরিবেশে ভাঙচুর ও লুটপাঠ

  প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৩ , ৬:০৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন :

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার ৬নং শাহজাহান ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত নিহতের জের ধরে প্রতিপক্ষের প্রায় ১২ টি বাড়ি ঘর ভাঙচুরসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল ও অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগে একই গ্রামের মোঃ আনোয়ার আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫) বাদী হয়ে আদালতে মৃত ফুল মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক (৬২), আব্দুল খালেক এর খেলে আব্দুর রউফ (৩৫) ও মৃত নুর মিয়ার চার ছেলে ফয়সাল মিয়া, দুলাল মিয়া, কাউসার মিয়া ও সুরুক মিয়া সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন।

সূত্রে জানা যায় গত ২২শে এপ্রিল মুসলমানদের সর্বোচ্চ খুশির দিন প্রতিবছরে পালনকৃত ঈদুল ফিতরের দিন, এলাকার যুবকদের গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় নিহত পক্ষের সাথে হাতাহাতি ও পরে সঙ্ঘবদ্ধ মারপিটের মধ্যে ইরফান মিয়া (৫০) নামক এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মামলা হয়, ঘটনায় জড়িতরা আড়াল থাকলেও ফেঁসে গেলেন আক্রোসে পরিকল্পিত পরিবারগুলো, রাখেনি পরিবারগুলোর নিজ বাসস্থানের চিহ্ন, উঠিয়ে নেওয়া হল, পানীয় টিউবওয়েল যেন এক লীলাভূমিতে পরিণত করেছেন। এজাহারের নয়টি তফসীলে মোট ২৫ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নিহতের পরে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে জনশূন্য করে রেখেছে, নিহত পক্ষের লোকজন। বর্তমানে শিক্ষার্থীসহ নারীরাও আতঙ্কে দিনাপাত করতেছে। পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাচ্ছে না কোন সহনশীল সহযোগিতা , উত্তরে আসে তোমরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাও, না হয় তোমাদের নির্যাতিত হতে হবে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অধ্যায়ন।
এ নিয়ে রাবেয়া বেগম (৪৫) বলেন, ভাঙচুর ও লুটপাতের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেও প্রশাসনের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না বলে জানান। সে আরও বলেন, আমরা বাড়ি ঘরে উঠতে পারছি না, এবং আমাদের বাড়িতে এমন কিছু নেই যে আমরা দাঁড়াতে পারবো, নিশ্চিহ্ন ভাঙচুর করে নিয়ে গেছেন, এমনকি আমাদের গাছপালা সবকিছু কেটে নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছে আমাদের বাড়িতে এখন কিছুই নেই শুধু ঘাস ছাড়া। এখানে আমাদের কোন দোষ ছিল না, প্রতিবেশী ছেলেরা আমোদ করতে গিয়ে বিতন্ডায় এ ঘটনা ঘটে, আমরা পরে গিয়ে দেখলাম এই মারপিট হয়েছে। অবশেষে আমাদের পক্ষই জেল হাজত ও মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতেছি। প্রকৃত দোষীরা ধরা চুয়ার বাইরে রয়ে গেল। আমরা তাহার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে নিহতের পক্ষে ঘটনাস্থলে নিহত ইরফান মিয়ার ছেলে বাইজিদ মিয়া বাদী হয়ে গত ২২শে এপ্রিল প্রতিপক্ষের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আনোয়ার আলী ও মৃত মালু হোসেনের ছেলে সেলিম খা সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মাধবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর এজাহার দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম ভাঙচুরের বাদী পক্ষ (হত্যার আসামী পক্ষ) তারা অনেক শক্তিশালী তাদের নিজেদের বাড়িঘর নিজেরাই ভাঙচুর করে অন্যত্র বসবাস করে আসছে ফায়দা হাসিলে অপচেষ্টায়, তারা আমাদেরকে ভাঙচুরের কোন অভিযোগ করেনি কোনদিন আসেওনা সহযোগিতার জন্য। এমনকি টেলিফোনেও কোন সহযোগিতা চাইনি, আমরা তাদেরকে কোনদিন বলিনি বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাও। তারা আদালতে মামলা করেছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

আরও খবর

Sponsered content