দেশজুড়ে

প্রতারনার অভিযোগ এনে উপজেলা  চেয়ারম্যান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জিডি

  প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৮:১৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতারনার অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন একই উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. নাছরিন জাহান । বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ওই জিডি করেন ওই উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান । ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে  উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ তার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে আমার (নারী ভাইস চেয়ারম্যান) ব্যাক্তিগত মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে একটি মোবাইল নম্বর (০১৭১৫৪৯২১১১) দিয়ে বলেন  ওই নম্বরে ১০ জন দু:স্থ লোকের তালিকা দিতে। আর ওই নম্বরটি রেডক্রিসেন্ট এর পিরোজপুর জেলা অফিসের এক কর্মচারীর নম্বর। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তিনি (নারী ভাইস চেয়ারম্যান) ওই নম্বরে ফোন দিলে তিনি মামুন নামের রেডক্রিসেন্টের পিরোজপুর জেলার এক কর্মচারী হিসাবে পরিচয় দেন। আমি (নারী ভাইস চেয়ারম্যান) তার কাছে নামের তালিকা পাঠানোর সময় চাই। কিন্তু এর মধ্যে ওই দিন বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান পুন:রায় আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে জানান, দ্রত ওই নম্বরে তালিকা পৌঁছে দিতে। আর আজকের মধ্যে ওই তালিকা না দিলে তা গ্রহন হবে না। পরে আমি ওই মামুন নামের ভুয়া পরিচয় দানকারীর কাছে ১০টি নামের তালিকা দিলে তিনি আমাকে তার এমডি’র সাথে কথা বলে আমাকে আরো ১০০/১৫০ লোকের প্যাকেজ দিতে পারবেন বলে জানান। পরে তিনি তার এমডি’র মোবাইল নম্বর হিসাবে ০১৩১০৭৭১৪১৮ নম্বর দেন। পরে ওই নম্বরে ফোন দিলে তিনি জনৈক আকবর নামের পিরোজপুরের রেডক্রিসেন্টের এমডি পরিচয় দেন। এ সময় তিনি (ভুয়া এমডি) জানান, প্রতিটি নামের প্যাকেজে ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি তেল ও নগদ অর্ত প্রদান করা হবে। আর এ জন্য প্রতিটি নামের বিপরীতে একটি করে ৭০০ টাকার ফর্ম ক্রয় করতে হবে। আর এ জন্য আমি তাদের দেয়া ০১৮৭৩১৯৫৯১৩ নম্বরে আমার (নারী ভাইস চেয়ারম্যান) ব্যাক্তিগত মোবাইলের বিকাশে থাকা ১৬,৩০০টাকা পাঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উক্ত নম্বর জেলা রেডক্রিসেন্টের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী  ওই নারী ভাইস চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের কথামতো প্রতারিত হওয়ায় এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি। 

আরও খবর

Sponsered content