প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২০ , ১১:৪৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতির জনকের হত্যাকাণ্ড ষড়যন্ত্রের বর্ধিত অংশ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা। মূল ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনের ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
তখন মধ্যরাত। পূর্ব পরিকল্পনায় অতর্কিত হামলা। কারাগারে আটক চার সূর্য সন্তানকে প্রথমে গুলি, তারপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হায়নার দল। এরপরও রাত শেষে ভোর হয়। তবে সে দিনের ভোর ছিল গভীর অন্ধকারে ঢাকা।
মৃত্যুর আগে জাতীয় চার নেতা রেখে গেছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যা সমর্পিত ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে। ভাষা আন্দোলন দিয়ে শুরু, এরপর মুক্তিযুদ্ধ। দেশ স্বাধীন হবার পর রাষ্ট্র নির্মাণেও তারা ছিলেন কাণ্ডারীর ভূমিকায়। এত সফলতা এবং ত্যাগের পরেও কেন হত্যা করা হলো জাতীয় চার নেতাকে?
এ বিষয়ে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের মূল নেতাকে দৃশ্যপট থেকে অপসারণ করা হয়, তেমনি বাদ-বাকি ৪ মুক্তিযুদ্ধের নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার কাজকে তারা পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।
এই জঘন্য হত্যার পিছনের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে পেতে স্বাধীন কমিশন গঠনের কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
চার নেতার সন্তানরা হারিয়েছেন তাদের পিতাকে। দেশ হারিয়েছে তার সেরা সন্তানদের। আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা গেলেও সবার শাস্তি কার্যকর করা যায়নি আজও। ন্যায় বিচারের অপেক্ষার প্রহর কেবল দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান রওশন আখতার রুমি বলেন, যুদ্ধ আর নেতৃত্ব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জয় হয়েছে দেশের, জয় হয়েছে মানুষের। নৃশংসতায় ভরা ৩ নভেম্বর এ ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে থমকে দিয়েছিল।
চার নেতার পরিবারের সদস্যদের চাওয়া খুবই সামান্য, কলঙ্কজনক এই অধ্যায়ের কথা জানুক নতুন প্রজন্ম।