বাংলাদেশ

‘আম্ফানে’ বিক্ষুব্ধ সাগর, সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২০ , ১:০৮:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় সাতক্ষীরা অথবা সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূল হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। আকুওয়েদার’ এবং ‘সাইক্লোকেইন’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে ‘আম্পান’র সম্ভাব্য গতিপথ হিসেব এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে। ‘আকুওয়েদার’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে দেওয়া ‘আম্পান’র সম্ভাব্য গতিপথে দেখা যায়, এটি ভারত সীমান্ত ঘেঁষে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এটি রোববার (১৭ মে) সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। যা আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ (দুই) নম্বর হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by