চট্টগ্রাম

বোয়ালখালীতে সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দিলেন ইউপি সদস্য

  এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ২:৫০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালখালীতে সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দিলেন ইউপি সদস্য

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালীর ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২) ও আতিকুর রহমান আকিজ (২৮) নামের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনার পর রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকা ও চট্টগ্রাম নিউজের বোয়ালখালী প্রতিনিধি এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন ।

বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা দীর্ঘ দিন থেকে এলাকার খারাপ ছেলেদেরকে নানা রকম অপরাধ করার কাজে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।এলাকার অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার জন্য গত (১৮এপ্রিল)বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটনের বাড়ীতে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে সামাজিক বৈঠক হয়।উক্ত বৈঠক বসাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)বিকাল ৫টা ৪৭মিনিটে ০১৮১৯-৪২৪২১২ মোবাইল নাম্বার আতিকুর রহমান আকিজ এবং ৪টা ৪৯ মিনিটে 

০১৮১৪-১৩৭৩২৫ মোবাইল নাম্বার থেকে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সাংবাদিক শাহেদ হোসাইন ছোটনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ,

মিথ্যা মামলা, এলাকায় মারধর করে এলাকা ছাড়া করবে এবং প্রাণে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন বলেন, আমাদের নিজ এলাকায় কিছু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার জন্য এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের  সাথে বৈঠক হয়।সেখানে আমিও তাদের সাথে উপস্হিত ছিলাম।বৈঠকটি আমার নেত্বত্বে হওয়ার কথা শুনে ইকবাল হোসেন ও আতিকুর রহমান আকিজ ফোন করে আমাকে আমার বাবা-মায়ের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন আমাকে মারধরসহ এলাকা ছাড়া ও হত্যার হুমকি প্রদান করে।সাংবাদিক ছোটন আরো বলেন গত দুই বছর আগেও ইকবাল হোসেন আমাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি এবং এক বছর আগেও সে এলাকার কিছু অবৈধ মাস্তানদেরকে নিয়ে আমার উপর হামলা করতে চেয়েছিলো।কিন্তু আমি এক আমার সাংবাদিক বন্ধুর কারণে রক্ষা পেলাম।বিষয়টি আমি ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলাল হোসেনকে জানানোর পর আমি আমার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

এছাড়াও ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় বয়ষ্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা করে দেওয়ার নামে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও ইকবাল বোয়ালখালীর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও 

ইউনিয়নের মেম্বারের ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকায় বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কাজে প্রভাব বিস্তার করার এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন বলেন,বাড়ীর একটি রাস্তা নিয়ে সমস্যা হয়েছে।থানায় জিডি হয়েছে এটা আমার জন্য কোন বিষয় না।আইন আমার হাতের মুটোই। আইনকে আমি চালাই।

বোয়ালখালী থানার (ওসি) তদন্ত মোঃসাইফুল ইসলাম বলেন,ইকবাল হোসেন ও আতিকুর রহমান আকিজের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by