ঢাকা

আশুলিয়ায় যুবককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৩:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় যুবককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

ঢাকার আশুলিয়ায় মেহেদী হাসান ওরফে শামীম নামের এক যুবককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর ছেলে মারুফ ভূঁইয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। এর আগে ২৩শে নভেম্বর রাতে জামগড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাকে মারধর করে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযুক্তরা হলো ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জামগড়ার মোরশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ মারুফ ভূঁইয়া (২৫)। অন্যরা হলো সাবেক মেম্বার আফছারের ছেলে মোঃ রাজু (২৮), শাহিন সিকদার বকরের ছেলে কামরুল সিকদার রুবেল (২৭), মো: জমিরুলের ছেলে মো: শাওন (২০), লাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোনা মিয়া (৪৮), শাহদাৎ হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩৩) এবং পিতা অজ্ঞাত মো: নাহিদ (২২), এনামুল হক (৩৫), মো: জাহিদ (২৬) একই এলাকায় তাদের বাড়ী।

ভুক্তভোগী টাঙ্গাইল জেলার ধুলবাড়ী গ্রামের শাহীন সিকদারের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান(২৪) ওরফে শামীম। সে আশুলিয়ার জামগড়া ভূঁইয়াপাড়া মনসুর ভূঁইয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে চাকরি করেন।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, জামগড়ার মোরশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মারুফ ও তার সহযোগী রাজু, শাওন, কামরুল, সোনামিয়া, সোহাগ, নাহিদ, এনামুল হক ও জাহিদ তারা আমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা সৃষ্টি করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৩শে নভেম্বর রাত ১০টার দিকে তারা আমার বাসায় ঢুকে  আমাকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে নির্জন এলাকায় যায়। পরে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে আমার গায়ের গেঞ্জি ছিড়ে চোখ বেঁধে ফেলে। এরপরে মারপিট করতে থাকে। এমন সময়ে ধারালো চাকু ও খুর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পার মেরে জখম করে। একপর্যায়ে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে আমাকে উদ্ধার করে। কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। থানায় কেন অভিযোগ করলাম এবিষয়ে তারা ফোনে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এখন ভয়ের মধ্যে আছি। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে না পেয়ে পরে অভিযুক্ত মারুফের বাবা মোর্শেদ ভূঁইয়াকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না এবং আমার ছেলেও জানে না।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আজকে আমি ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করতেছি। কাল ঘটনাস্থলে যাব এবং তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by