দেশজুড়ে

আশুলিয়ায় ৬ মাসের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২

  প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২০ , ৭:২৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় ৬ মাসের শিশু মারিয়াকে ধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আমাসীসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। প্রায় দীর্ঘ ৮ মাস পর ময়না তদন্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে ধর্ষক ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে শিশু মারিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারী গ্রেফতার হয়েছে এমন খবর শুনে খুশিতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বন্যায় পানি বন্দী বাবা ও স্বজনরা ছুটে এসেছেন নির্মম ঘটনার বিচারের দাবীতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমান। গ্রেফতারকৃতের নাম শিমুল (২৫) ও নুরজাহান বেগম। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রসুলপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শিমুল ও গ্রেফতার নুরজাহান জামালপুর জেলার আটাবরি এলাকার মৃত মেহের আলীর স্ত্রী। শিমুল সম্পর্কে নুরজাহান বেগমের মেয়ের জামাই। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আশুলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশুলিয়ার গাজীরচটের বুড়িবাজার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে শিমুল ও তার শাশুড়ি নিহত শিশুটির পরিচর্যাকারী নুরজাহান বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত শিশুর বাবা ফারুক প্রামানিক বাদী হয়ে শনিবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুর এমন নির্মম ঘটনার বিচার চেয়েছেন হতভাগা বাবা। শিশুটির বাবা মো. ফারুক প্রারমানিক জানান, বিচার চাইলেও দারিদ্রতা বড় বাঁধা। টাকা পয়সা নেই। পুলিশ টাকা দিয়েছে বলে আমরা আসতে পেরেছি। পরে মামলার প্রয়োজনে আদালতে বা থানায় আসতে হলে সেই উপায় নেই। তাই সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমান জানায়, ৬ মাসের শিশুকে ধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় বখাটে শিমুল ও তার সহযোগী শাশুড়ী নুরজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কি ভাবে এই কাজটি করলো তারা বিষয়টি অমানবিক। এ ঘটনায় অপরাধীদের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকায় পরিচর্যাকারী নূরজাহানের কাছে থাকা অবস্থায় শিশু মারিয়ার রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তখন শিশুর শরীরে ও মলদ্বারে কিছু অস্বাভিবকতা ছিল । পরে নিহত শিশুর ময়না তদন্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে পুলিশ। বেশ কয়েকটি পরীক্ষার করানোর পর নিশ্চিত হয় পুলিশ যে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে শিশু পরিচর্যাকারী নুরজাহানের মেয়ের জামাই শিমুলকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তথ্য গোপন ও অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টার জন্য শিমুলের শাশুড়ি নুরজাহান বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by