দেশজুড়ে

আড়াইহাজারে ২৪ ঘন্টায় পৃথক সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেফতার ৬

  প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২০ , ৭:৫৭:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ২৪ ঘন্টায় পৃথক ৪টি সংঘর্ষের ঘটনায় ১জন নিহত ও আহত হয়েছে ২৫ জন। ঐ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে মনির ও মোশাররফের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে বগাদী গ্রামের ফাহিম নামের এক অটো চালককে মারধর করে একই গ্রামের মোশাররফ এর লোকজন। এই নিয়ে বুধবার সকাল ১১টায় ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব মোল্লার কার্যালয়ে বিচার বসে। বিচারের শেষ পর্যায়ে শালিসদার জহিরের উপর হামলা করে। এতে মোশাররফ ও ফাহিমের আত্মীয় মনিরের লোকজন আবারো দা.ছুরি, বল্লাম নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আড়াইহাজার-গোপালদী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়। খবর পেয়ে থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ওসি তদন্ত সওকত হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। একই দিনে হাইজাদী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাসেমকে মারধরের ঘটনায় বুধবার বিকেলে বল্লবদী গ্রামে আলী চেয়ারম্যান এবং ঐ ইউনিয়নের সামনের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপার্থী জুনায়েদ ভুইয়া প্রিন্স গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চেয়ারম্যান গ্রæপের থানা যুবলীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক শাহ-আলম এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলামিন আহত হন। এ সময় প্রিন্সের লোকজন সিংহদী বাজারে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতংক সৃস্টি করে আওয়ামী লীগের পার্টি ওফিস ভাংচুর করে। উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা রজু করেন। চেয়ারম্যান গ্রæপের মামলা মামলায় জুনায়েদ ভুইয়া প্রিন্স তার ভাই ইয়ামিন সহ জুবায়ের হোসেন, রাকিব গ্রেফতার হন। প্রিন্স গ্রæপের মামলায় আসিফ এবং আসিক গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার সকালে উচিৎপুরা ইউনিয়নের কাদেরদিয়া গ্রামের সুফিয়ানকে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী করা নিয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য হানিফ এবং ওই ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জাফরের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আমিন উদ্দিন (৬৫) ফাতেমা (২৮) আনোয়ার (৪৮) আহত হন। এদের মধ্যে স্বজনরা আনোয়ারকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাঃ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আনোয়ার কাদেরদিয়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে। আনোয়ারের মত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুদ্ধ জনগন হানিফ মেম্বারের দ্বিতল বাড়ী ভাংচুর করে বাড়ির ভিতরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এবং মেম্বারের অনুসারীদের ৪/৫ টি বাড়ী ভাংচুর করে। আড়াইহাজার থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আনোয়ার হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। প্রত্যেক সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by