দেশজুড়ে

করোনাভাইরাস: আক্রান্ত শনাক্তের ৪৪ শতাংশ ঢাকায়, ঝুঁকিতে মিরপুর

  প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ১০:০০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত যে ৩১২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগই রাজধানী ঢাকার ও নারায়ণগঞ্জের। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার (৪৪ শতাংশ) ও নারায়ণগঞ্জের (৩১ শতাংশ) বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত রাজধানীর  পুরান ঢাকা ও মিরপুর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

রোববার মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির একটি ভবনের ফ্ল্যাটে তিনজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন, সেখানকার একটি ১৬ তলা ভবন লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডের পর নূরজাহান রোডও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত যে ৩১২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তাদের শতকরা ৭৫ ভাগই রাজধানী ঢাকার (৪৪ শতাংশ) ও নারায়ণগঞ্জের (৩১ শতাংশ) বাসিন্দা। অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ ভাগ পুরুষ ও মহিলা ৩৪ ভাগ। মৃত্যুবরণকারী ৭ জনের সবাই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রোগী। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন নারী। তিনজন ঢাকার বেররের এবং চারজন নারায়ণগঞ্জের।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২ হাজার ৭৪৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ২ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৩৯ জন। আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশন মুক্ত হয়েছেন ৫৩৭ জন।

হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৪১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১৭৪ জনকে। সবমিলিয়ে তিন হাজার ৮১৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এই সময়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন চার হাজার ২৬ জন।

রাজধানীতে অধিকতর আক্রান্ত এলাকা
আইইডিসিআর জানায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত শনাক্তের ৩১২ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ১৩৭ জন, নারায়ণগঞ্জের ৯৭ জন এবং ৭৮ জন অন্যান্য জেলার।

গতকাল পর্যন্ত আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে ৫০ জন, মোহাম্মদপুরে ৩৪ জন, ওয়ারীতে ২৮ জন, মিটফোর্ডে ২৬ জন, যাত্রাবাড়িতে ২৫ জন, লালবাগ ও  উত্তরায় ২৩ জন,  ধানমন্ডিতে ২১ জন, টোলারবাগে ১৯ জন,  বাসাবোতে ১৭ জন, বংশালে ১৬ জন, গেন্ডারিয়া ও তেজগাঁওয়ে ১৬ জন,  আজিমপুরে ১৩ জন, বাবুবাজারে ১১ জন, চকবাজারে ১২ জন , শাখারিবাজারে ১০ জন, হাজারীবাগে ১৬ জন, গুলশানে ১৪ জন, মগবাজারে ১১ জন, মহাখালীতে ১২ জন, রাজারবাগে ১৩ জন, গ্রীন রোডে ১০ জন।

ঝুঁকিপূর্ণ ‍মিরপুর

মিরপুর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দারা নানা কারণে রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছেও মাথাব্যথার বড় কারণ পুরান ঢাকা ও মিরপুর। এসব এলাকায় করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করাসহ নতুন পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবছে আইইডিসিআর।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by